সিরাজগঞ্জ জেলায় এ মৌসুমে মরিচ চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে মরিচের বাজার মূল্য ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখছে কৃষকেরা। এতে এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১২ হেক্টর জমিতে বেশি মরিচ চাষ করেছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের কারণে এ মরিচ চাষে কিছুটা বিলম্বিত হলেও এ লাভজনক মরিচ চাষে ঝুকে পড়ে কৃষকেরা। বন্যায় মাটির উর্বরতা থাকায় কম খরচে এ মরিচ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।
যমুনা নদীর পার্শ্ববর্তী বেলকুচি, কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এই মৌসূমী মরিচ চাষ বেশি হয়েছে। তবে কাজিপুরের নাটুয়ার পাড়া, নিশ্চিন্তপুর, তেকানিসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ মরিচ চাষে নারী পুরুষেরা দিন রাত কাজ করে থাকে। মরিচ শুকানোর জন্য মাঠে মাঠে চাতাল তৈরী করছে এবং তারা ভালো মজুরিও পাচ্ছে। চরাঞ্চলের আদর্শ কৃষকরা বলেন, বন্য পরবর্তীতে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে মরিচ চাষ বিলম্বিত হয়।
এ কারণে এবারের মরিচ চাষ নিয়ে কৃষকগণ হতাসায় পড়েছিল। এ মরিচ চাষাবাদ কিছুটা বিলম্বিত হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে রোপিত চারা বড় হয়েছে। এছাড়া অনান্য বছরের ন্যায় মরিচের বিভিন্ন রোগ বালাই নেই বল্লেই চলে। এবার মরিচের ফলন বাম্পার হয়েছে। আশা করছি বিঘা প্রতি ৪০/৫০ মন কাঁচা মরিচ উঠবে এবং বিঘা প্রতি ১০/১২ মন শুকনা মরিচ ও ঘরে উঠবে।
চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে শত শত মণ কাচা মরিচ কিনছে এবং তারা এ মরিচ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।স্থানীয়হাট-বাজারে ১শ/১২০ টাকায় প্রতি কেজি কাচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু হানিফ এ বিষয়ে বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার মরিচ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।
সেই সাথে বাজার দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে। এ জেলার বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা এ লাভজনক মরিচ চাষ বেশি করেছে। আগামীতে মৌসুমে এ মরিচ চাষে কৃষকদের আরও পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।