মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শহর জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সকালে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতা বাড়তে থাকে। ভোটকেন্দ্র দখল, পাল্টা দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দদফা দফায় সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো মুন্সীগঞ্জ শহর। এই সকল ঘটনায় ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকসহ দলীয়কর্মীরা আহত হন।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুর্ব শিলমন্দী ভোট কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সকালের খবরের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আরাফাতুজ্জামান বাবুকে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত যখম করে দুর্বৃত্তরা। একই কেন্দ্রে আরটিভি ক্যামেরা পারসনও লাঞ্ছিত হন।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে পৌরসভার হাটলক্ষ্মীগঞ্জ ও ইদ্রাকপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাজী বিপ্লব ফয়সাল ও কাউন্সিলর প্রার্থী মকবুল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়াসহ গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক কেন্দ্রে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রেসক্লাবে এসে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল ইসলাম সংগ্রাম।
ভিডিওটি মুন্সিগঞ্জ টাইমসের সৌজন্যে
https://www.youtube.com/watch?v=rC2U5IVJ4Zw
সানবিডি/ঢাকা/এসএস