বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে প্রথম বারেরমতো সারা দেশে দলীয় প্রতীকে ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা চলছে। সেই সঙ্গে যেসব পৌরসভায় ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে, সেসব পৌরসভায় বেসরকারি ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশি কিছু পৌরসভার বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
১৪টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত, প্রার্থীদের ভোট বর্জন ও এজেন্টদের মারধর, জালভোট, বুথ দখল আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগের মধ্য দিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ১৪ পৌরসভায় কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৯৪৩ জনসহ মোট ১২ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে প্রায় ৩ হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রে ৬১ হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন। এ নির্বাচনে ৩ হাজার ৫৫৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এসব ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭১টি।
বুধবার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভায় গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ভোটকেন্দ্র থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম নূরুল আমিন (২৬)।
যেসব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত : অনিয়ম, সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভোটকেন্দ্রে গুলি, ব্যালট পেপারে জোর করে সিল দেওয়ার অভিযোগে আটটি পৌরসভার ১৪টি কেন্দ্রের ভোট নেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এসব কেন্দ্রে ভোট নেওয়া স্থগিত করেন।
এর মধ্যে কুমিল্লার বরুড়া পৌরসভায় একটি ও হোমনা পৌরসভায় দুটি, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও বাঁশখালী পৌরসভায় তিনটি, মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় দুটি, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একটি, বরগুনায় একটি, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভায় চারটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হয়েছে।
এদিকে পৌর নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপি এই নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।