বেশি মেকআপ করায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দিলেন বাসের এক নারী টিকিটচেকার। শুনতে আশ্চর্য্য লাগলেও সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বৃটেনের রাস্তায়।
ঘাড় ধাক্কার শিকার ওই কিশোরীর নাম জাহরা সাদিক। তিনি এশীয় বংশোদ্ভূত। থাকেন ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম শহরে। গত ২২ ডিসেম্বর বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন সিনেমা দেখতে। ফেরার পথে ওঠেছিলন ন্যাশনাল এক্সপ্রেস কোম্পানির কোচে। বরাবরের মত সেদিনও তিনি শিশুটিকেট নিয়ে বাসে ওঠেছিলেন। কিন্তু তার মেকআপের পরিমাণটা এত বেশি হয়ে গিয়েছিল যে, বয়সের তুলনায় তাকে বেশ বড় দেখাচ্ছিল। এতেই ঘটে বিপত্তি।
জাহরার হাতে শিশু টিকিট দেখে ক্ষেপে যান টিকিটচেকার ওই নারী। কিছুতেই মানতে রাজি না যে, জাহরা এখনও শিশু। উল্টো অভিযোগ করেন যে, টাকা বাঁচাতেই কম দামে শিশু টিকিট কিনেছে এই মেয়ে। জাহরা তাকে যতই বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তিনি আসলেই শিশু, ততই দাঁত খিচিয়ে শক্ত শক্ত বাক্য শুনিয়ে দেন জাহরাকে। এমনকি তার কাছে ওই জাদরেল টিকিটচেকার বয়সের প্রমাণ হিসেবে পাসপোর্ট বা সার্টিফিকেট দেখানোরও যুক্তি তোলেন।
মেয়েটির কাছে স্বাভাবিকভাবেই বয়সের প্রমাণ হিসেবে কিছুই ছিল না। তখন ওই নিষ্ঠুর চেকার জাহরাকে বলেন, ‘শোন মেয়ে, আজই বাসায় গিয়ে পাসপোর্টের ছবি তুলে মোবাইলে সেভ করে রাখবে। ভবিষ্যতে কাজে দেবে। এখন লাথি মেরে বাস থেকে ফেলে দেয়ার আগেই নেমে পড়। নইলে তোমার কপালে আরো খারাপি আছে।’
এই বলেই তিনি বাস থামিয়ে মেয়েটিকে ঘাড় ধাক্কা দিয়েই নামিয়ে দেন। সেই রাতে জাহরাকে বাকি পথ পায়ে হেঁটে একা একা বাড়ি ফিরতে হয়েছে। শুধু কি তাই। বয়স লুকিয়ে শিশুদের টিকেটে বাসে চড়ার অপরাধে তাকে ৩৫ পাউন্ড জরিমানাও গুনতে হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষেপেছে জাহরার পরিবার। ইতিমধ্যে তার চাচা নাভিদ সাদিক ন্যাশনাল এক্সপ্রেস কোম্পানির কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ওই বাস কোম্পানি। আক্ষেপ করে সেদিনের ওই ঘটনা জাহরা ব্রিটিশ ট্যাবলয়েট ডেইলি মিররের কাছেও বর্ননা করেন।