সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরবর্তী খোকশাবাড়ীর চর ব্রাক্ষণগাতীতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন বাড়ছে বিদেশি সবজি ক্যাপসিকামের আবাদ।
কম খরচ ও পরিশ্রমে বেশি লাভজনক হওয়ায় তরুণ দুই কৃষি উদ্দ্যোগক্তা ক্যাপসিকাম চাষের আগ্রহ প্রকাশ করেন। গত বছরের চেয়ে এবার দাম প্রায় দ্বিগুণ। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন এই তরুণ চাষিরা। অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ে সঠিক পরামর্শ ও তদারকির ফলে চাষিরা সফল হচ্ছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
কৃষি কাজে অবদান রেখে নিজের ভাগ্য বদলাতে আব্দুল আল মামুন জানান, সিরাজগঞ্জ সদরে চর ব্রাক্ষণগাতীতে ৪ বিঘা জামি নিয়ে কৃষি প্রকল্প শুরু করা হয়। এর মাঝে ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে বলে দাবী করছেন এই উদ্দ্যোগতা। তারা আরও জানান, বর্তমান বাজারে খুচরা ও পাইকারি বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছি।
এই প্রকল্পের আরেক উদ্দ্যোগক্তা নেহাল হাসান জানান, করোনা মহামারিতে লগডাউন অপেক্ষা করে চাকরি না করে কৃষিতে অবদান রাখার জন্য এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ। প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যায়ে এই প্রকল্প শুরু করা হয়। এবার বাজার দর অনুযায়ী শুধু ক্যাপসিকামেই বিঘাতে প্রায় ৪ লাখ টাকা লাভ হবে। ক্ষেতে এখনোও যে ফসল আছে তাতে আরও ১০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
এছাড়া এই প্রোজেক্টে কয়েক ধরনের সবজি ও ফলমূলের চাষাবাদ করা হয় যেমন, পিয়ারা, বড়ই, কমলা, পেপে, লেবু, তরমুজ, শশা, শিম, বরবটি, ড্রাগনসহ অনেক জাতের সবজি রয়েছে বলে জানান তারা।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুস্তম আলী জানান, এ বছর ক্ষেতে কোনো প্রকার পোকার আক্রমণ নেই। তাই চাষিরা আগের চেয়ে অনেক লাভবান হবেন। ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেকেই ভাগ্য বদল করেছেন।