ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উত্থান ঘটেছে ২০১৫ সালে। বিশ্বকাপের পরপরই টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজে জয় বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ছিল বছরের শেষ মিশন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য তাই মুখিয়ে ছিল পুরো দেশ। কিন্তু নিরাপত্তা জনিত কারণে বহুল আলোচিত এই সিরিজ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই কারণটি ঠিক মেনে নিতে পারছেন না বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান নিজেও। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর আজ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তরে এটাই জানালেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। অগ্রবর্তী নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলকে সেটি জানানোও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও সিরিজটি পিছিয়ে দেওয়ায় হতাশ বিসিবিপ্রধান। তিনি জানান, ‘আমি এখনো নিশ্চিত নই ঠিক কী কারণে সিরিজটা পিছিয়ে দেওয়া হলো। কারণ আমরা যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলাম তা যেকোনো নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দেখলেই বুঝবে তাঁরা কতটা নিরাপদে থাকবেন। তারপরও সিরিজটা পেছানো হয়েছে। তাঁদের ওই তালিকায় কিন্তু বাংলাদেশের পরপরই ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম ছিল। এ সব দেশে কি খেলা হচ্ছে না?! আর শুধু বাংলাদেশ কেন? ভারতের কথাই চিন্তা করুন। আমরা তো ২৩ নম্বরে, ভারত তো তালিকার ৬ নম্বরে। তাই বলে কি ভারতে খেলা হবে না? নিরাপত্তাসংক্রান্ত ওই সতর্কতায় বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা একই পর্যায়ে ছিল। তাহলে কি এসব দেশের কোথাও খেলা হবে না? এটা খুব বড় একটি ইস্যু। পরবর্তী আইসিসি মিটিংয়ে এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
এর ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে পড়বে না বলেই আশা করছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। ২০১৬ তে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ পৌঁছানোর ঘটনার প্রভাব বিশ্বকাপেও পড়বে কি না, এই প্রশ্ন জাগছে অনেকের মনে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি (নিরাপত্তার বিষয়টি) অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সব সময়ের জন্য না। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।’
আপাতত বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনাকেই মূল লক্ষ্য করেছে ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবি সভাপতি তাই পরবর্তী আইসিসি মিটিংয়ে এই ব্যাপারেই জোর দিতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হলো কত তাড়াতাড়ি আমরা খেলাটিকে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।’