চলতি রবি মৌশুমে মাগুরা জেলার শালিখায় বিস্তীর্ণ মাঠে চাষ করা হয়েছে সরিষা। মাঠের যেদিকে দু চোখ যায় শুধু সরিষা আর সরিষা। শালিখা উপজেলায় চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।
আগের তুলনায় বর্তমানে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি দেখা গেছে। সরেজমিন আড়পাড়া, তালখড়ি, শতখালী, গঙ্গারামপুর, বুনাগাতী ও ধনেশ্বরগাতীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতি গ্রামেই কৃষকেরা সরিষা চাষ করেছেন।
এই ফসলটি কম খরচ ও স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। চলতি মৌসুমে কোন রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কৃষি কর্কর্তা জানান, চলতি মৌসুমে শালিখা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এবছর ৪ হাজার, ৪ ’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। শুরুতে সরিষা তে পোকা-মাকড়ের আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যায়ে চাষিদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শক্রমে ও কারিগরি সহযোগিতার কারণে সরিষা তে অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। যথাসময়ে সরকারি পর্যায় থেকে প্রান্তিক ১১’শ কৃষকের মাঝে মানসম্পন্ন সরিষার বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
তবে মাঠ পর্যায়ে বেশ কিছু জমি চাষের উপযোগী না হওয়ায় কিছু কৃষক সময়মত সরিষা বপন করতে পারেননি। আড়পাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল বিশ্বাস ও তালখড়ী গ্রামের কৃষক আলমঙ্গীর হোসেন জানান, কিছু বীজ সরকারিভাবে পেলেও আমরা নিজেরাই বাকিটা কিনে জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার বাম্পার ফলন হওয়াতে আমরা খুব খুশি।
এ বছর দাম ভাল পেলে সরিষা চাষের প্রতি আরও আগ্রহ বেড়ে যাবে বলে তারা জানান । উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আলমঙ্গীর হোসেন জানান, এ বছর শালিখার ৭টি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে, পাশাপাশি সরিষার ফলনও ভাল হয়েছে।
যথাসময়ে জমি চাষের যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের প থেকে তাদেরকে যথাযথ পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।