জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ গ্রহণ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেওয়ার উদ্যোগ সফল করতে শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠন সমূহের সঙ্গে যৌথসভায় তিনি একথা বলেন।
হানিফ বলেন, আগামীকাল বেলা দেড়টায় প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় নামবেন। সেজন্য দুপুর সাড়ে ১২টায় আমাদের স্ব স্ব জায়গায় অবস্থান নিতে হবে। কথা অনুযায়ী যদি আমরা যে যার জায়গায় অবস্থান না নেই তাহলে গোটা আয়োজনটি সুশৃঙ্খল হবে না। সবাইকে জাতীয় পতাকা হাতে উপস্থিত হতে হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস্তায় যেখানেই আপনারা সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়াবেন সে অবস্থায়ই আপনারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি পাবেন। কেউ যদি মনে করেন বিজয়স্মরণী কিংবা সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়ালেই প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ভালো দেখতে পাবেন সেটা ভুল হবে ধারণা। আমি একটি জিনিস লক্ষ্য করছি সবাই বিজয় স্মরণী এবং সংসদ ভবন মোড় এলাকায় থাকতে চান। এখানে থাকলেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি পাবেন-এমনটা যদি কেউ মনে করেন তাহলে তিনি ভুল করছেন। আমি মনে করি যে জায়গা ফাঁকা থাকবে যেমন কুড়িল বিশ্বরোড় থেকে হোটেল রেডিসন পর্যন্ত যারা দাঁড়াবেন তারাই বেশি করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।
হানিফ বলেন, আমরা যারা এখানে দাঁড়াবো তাদের অবশ্যই একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, কেউ যেন রাস্তার মাঝখানে দাঁড়াতে না পারে। যদি তা না হয় তহালে রাস্তায় যানজট লেগে যাবে। কাল শনিবার অনেক মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে এতে রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকবে। তাই রাস্তার ওপর যাতে মানুষের চাপ না থাকে এ বিষয়টি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
হানিফ বলেন, কাল ঢাকায় ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা হবে। এত গণমানুষের ঢল নামবে। এই ঢলের মাধ্যমেই বিএনপিসহ তাদের রাজনৈতিক প্রভুরা দেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হচ্ছে তারও দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন গোটা জাতির অর্জন। সকলকে দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, দেশের জন্য এ বিশাল অর্জন বয়ে আনায় শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা ১৪ দল মনে করি এই সংবর্ধনায় জনতার ঢল নামবে। এটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
নাসিম বলেন- আমি অনুরোধ করবো, ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে আসুন সবাই একত্রিত হয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা এবং অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন দেশ ও জাতির জন্য গৌরবের। তাই দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে আমি এই গণসংবর্ধনায় অংশগ্রহণে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধরিত্রী কন্যা আখ্যায়িত করেছি। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর হলেও তারা এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছে না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের তরুণ সমাজকে সেভাবে আকৃষ্ট করতে পারিনি। এই তরুণ সমাজকে জঙ্গিগোষ্ঠী বেশি আকৃষ্ট করছে। এই তরুণ সমাজকে তাদের থেকে ফিরিয়ে এনে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণ সমাজকে তথ্য প্রযুক্তির দিকে আকৃষ্ট করা শেখ হাসিনার বিরাট সফলতা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর এই সফলতার জন্য সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আমরা সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী কী সফলতার জন্য পুরস্কার দুইটি পেয়েছে তা জাতিকে জানাতে তা অল্প কথায় লিফলেট আকারে প্রচার করতে হবে।
যৌথসভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শিল্প সম্পাদক আবদুস সাত্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান প্রমুখ।