জয়পুরহাটে বানিজ্যিক ভাবে অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষ ক করে সফল হয়েছেন দুই যুবক। অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম,আর বেশি ফলন হওয়ায় এই সবজ্বী চাষে লাভবান হওয়া যায়। তাই দিন দিন এ সবজী চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ জেলার কৃষকদের।
জয়পুরহাটে বানিজ্যিক ভাবে অধিক গুণাগুণ সমৃদ্ধ বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সফল হয়েছেন দুই যুবক। স্কোয়াশ দেখতে লোম্বা আকৃতির কিছুটা মিষ্টি লাউ এর মতো। চাষ পদ্ধতিও মিষ্টি লাউয়ের মতোই। একটি স্কোয়শ ওজনে ২ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়।
স্কোয়াশ চাষী ছাব্বির হোসেন ও ফরহাদ হোসেন জানান, করোনা কালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গ্রামের বাড়ী জয়পুরহাট জেলা সদরের মুরারীপুর গ্রামে তাদের নিজ জমিতে তারা দুই বন্ধ মিলে মাত্র ৩ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করতে করে। আর তাদের এই তিনবিঘা জমিতে চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার হাজার টাকা, ইতিমধ্যে তারা বিক্রি করা শুরু করেছে , আর সেখান থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার স্কোয়াশ বিক্রি হবে বলে জানান তারা।
মুরারীপুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন ও তছির উদ্দিন জানান, ছাব্বির ও ফরহাদ তারা যে এই নতুন জাতের সবজীটি চাষ শুরু করেছে তাতে মোটামুটি ফলন ভালো হয়েছে, এই সবজীটি চাষে খরচ কম হয়, আবার লাভজনক মনে হওয়ায় আগামীতে তারাও লাগানোর ইচ্ছে প্রকাশ করছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিশু আক্তার জানান, স্কোয়াস সবজিতে ভিটামিন সি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা খাদ্য গুণাগুণ রয়েছে। এই সবজীটির চাষাবাদ লাভজন হওয়ায় এর চাষ বাড়ছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কায়ছার ইকবাল জানান, স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের সকল প্রকার সহায়তা দেওয়ার কথা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। সেই সাথে আগামীতে এই সবজীটি চাষে যেন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ে সেই কারনে নানা পরামর্শ ওদিয়ে যাচ্ছেন তারা।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার এ জেলায় স্কোয়শ চাষ হয়েছে তিন একর জমিতে । স্বল্প খরচে অধিক লাভবান এই স্কোয়াশ চাষে জয়পুরহাটের কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তাই জেলায় দেশীয় সবজীর বাজারে এই স্কোয়াশ নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদী স্থানীয় কৃষি বিভাগের।