রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কালিদীঘি গ্রামে টমেটো চাষ করেন বকুল মিয়া।তিনি প্রতিবছর ৪০-৫০ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করতেন। এই সবজি উৎপাদনের শুরুতে ভালো দাম পেলেও মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে দাম ভালো না পাওয়ায় টমেটো ফেলে দিতে হতো। লাভের আশায় টমেটো চাষ করেও শেষ অবধি ধারদেনায় পড়েন তিনি। তবে এ বছর পরিস্থিতি বদলেছে। কৃষিপণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি ‘প্রাণ’ টমেটো কেনায় টমেটো বিক্রির নিশ্চয়তা পেয়েছেন তিনি। কমেছে আর্থিক লোকসানের ঝুঁকি।
স্থানীয় পর্যায়ে প্রাণের টমেটো প্রক্রিয়াজাতকারী একটি কারখানা স্থাপন হওয়ায় বকুল মিয়ার মতো বরেন্দ্র এলাকার চাষীদের মুখে হতাশার বিপরীতে ভরসার হাসি ফুটে উঠেছে। খোলা বাজারে টমেটো বিক্রির পাশাপাশি এখন প্রাণের কাছে ভালো দামে টমেটো বিক্রি করতে পারছেন তারা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় টমেটোচাষীরা, আগে টমেটো বিক্রি নিয়ে রীতিমতো সংকটে পড়তে হতো। প্রাণ এখানে কারখানা স্থাপন করায় চাষীদের দুশ্চিন্তা কেটেছে। ভাগ্য বদলেছে চাষীদের। আর্থিকভাবে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। টমেটো চাষে আগে যে হতাশা ছিল এখন তা কেটেছে। উন্নত প্রশিক্ষণ, বীজ, সার সরবরাহ করায় চাষীরা বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদ করছেন। এতে টমেটো চাষে যেমন ফলন বেশি হচ্ছে। তেমনি উৎপাদিত ভালো মানের টমেটো প্রাণকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সানবিডি/এনজে