এই ছোট ছোট ভূমিকম্পন একদিন মহা ভূমিকম্পনের সৃষ্টি করবে। সেই দিনটিই হলো কেয়ামত। কোরআন-হাদীসে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে সেই ভূমিকম্পের। সেই মহাধসের আগের প্রেক্ষাপটও বর্ণনা করা হয়েছে বিস্তারিত। নিচে কোরআনের একটি সুরা ও একটি হাদীসে বর্ণিত সেই ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো-
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
" ১) যখন পৃথিবী তার (চূড়ান্ত) কম্পনে প্রকম্পিত হবে।
(২) যখন ভূগর্ভ তার বোঝাসমূহ উদ্গীরণ করবে।
(৩) এবং মানুষ বলে উঠবে, এর কি হ’ল?
(৪) সেদিন সে (তার উপরে ঘটিত) সকল বৃত্তান্ত বর্ণনা
করবে।
(৫) কেননা তোমার পালনকর্তা তাকে প্রত্যাদেশ করবেন।
(৬) সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে প্রকাশ পাবে, যাতে তাদেরকে
তাদের কৃতকর্ম দেখানো যায়।
(৭) অতঃপর কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে তা সে দেখতে
পাবে।
(৮) এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও সে দেখতে
পাবে।’'
[সূরা যিলযাল ৯৯;১-৮]
আবু হুরাইরা (রা.) কতৃক বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
"১.যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে,
২.কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার
খিয়ানত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না),
৩. জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে,
৪.ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বিদ্যা অর্জন করাহবে,
৫.একজন পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু তার মায়ের
সাথে বিরূপ আচরণ করবে,
৬.বন্ধুকে কাছে টেনে নিবে আর পিতাকে দূরে সরিয়ে
দিবে,
৭.মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল (কথাবার্ত) হবে,
৮.জাতির সবচেয়ে দূর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসক রুপে
আবির্ভূত হবে, ৯.সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি জনগণের নেতা
হবে,
১০.একজন মানুষ যে খারাপ কাজকরে খ্যাতি অর্জন করবে তাকে
তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে,
১১.বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হয়ে যাবে,
১২.মদ পান করা হবে (বিভিন্ন নামে মদ ছড়িয়ে পড়বে),
১৩.শেষ বংশের লোকজন তাদের পূর্ববর্তী
মানুষগুলোকে অভিশাপ দিবে....
এমন সময় আসবে যখন তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে তখন একটি
ভূমিকম্প সেই ভূমিকে তলিয়ে দিবে (ধ্বংস স্তুপে পরিণত
হবে বা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ঢুকে যাবে) ।"'
--[তিরমিযি কতৃক বর্ণিত, হাদিস নং – ১৪৪৭]
আল্লাহ তায়ালা কোরআন , হাদিস বুঝে মেনে চলার তাওফিক দান করুন -আমিন ।