উন্নত বিশ্বে শিক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য হোক সব কিছুতেই বিমা থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে। বর্তমানে যে পরিমান মানুষ বিমার আওতায় এসেছে তা পর্যাপ্ত নয়। ক্রমান্বয়ে সকল মানুষেকে বিমার আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন
তিনি বলেন, এখনও প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ বিমার আওতার বাহিরে। এই মানুষদের একই ছাতার নিচে আনা হবে। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশকে স্বাধীন করেছেন তেমনই বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্বাধীন করতে কাজ করছে ইন্স্যুরেন্স।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বীমা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে আগামী ১ মার্চ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি ) জাতীয় বিমা দিবস ২০২১ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিআইসিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া উপস্থিত থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মু. আসাদুল ইসলাম, বিমা প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থানা পরিচালক ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
তিনি বলেন, বিমা দিবসটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের জন্য বিরাট ভুমিকা রাখা যায়। সে কারণেই বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালে ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছেন। তিনি আরও বলেন, যে দেশের বিমাখাত উন্নত সে দেশের অর্থনীতি ভালো।
ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির বলেন, যে দেশের বীমা খাত যতো উন্নত সে দেশের অর্থনীতি ততো উন্নত। বীমার উন্নয়নের সাথে দেশের উন্নয়নও নির্ভরশীল।