পদ্মা বহুমুখী সেতুর ব্যয় বেড়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা। এতে মুল প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। প্রকল্পটির এ ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন দিয়েছে দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে কোন রকম ফিজিবিলি স্টাডি করে আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছি। কাজ শুরুর পর বাস্তাবতা বিবেচনায় ডিটেইল স্টাডির মাধ্যমে চূড়ান্ত ব্যয় ঠিক করা হয়েছে। এতে পূর্বের চেয়ে অনেকগুলো কম্পোনেন্ট যুক্ত হয়েছে। তাই ব্যয়ও অনেক বেড়েছে।
এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার বেশি নদীশাসন কাজ করতে হয়েছে। নদী শাসনের ব্যয়ই বেড়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। মুল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। তখন এটি যান চলাচলের জন্য উপযুক্ত হবে। তবে প্রকল্পের বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এ অবস্থায় পুরো কাজ সময় মতো শেষ করতেই এ ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে।’
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান,পরিকল্পনা সচিব সফিকুল আযম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সদস্য ড. শামসুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘একনেক বৈঠকে পদ্মা প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩৩ হাজার ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ৩০ হাজার ২৯২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২২ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।’
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৮২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প,এর ব্যয় ১২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বিলুপ্ত ছিটমহল সমূহের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ১৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও জোরদারকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৫২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৪৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বাগেরহাট জেলার পোল্ডার নং-৩৬/১ এর পুনর্বাসন প্রকল্প, এর ব্যয় ২৮২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। নিউ হরিপুর পাওয়ার প্লান্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট (লংটাম সার্ভিস এগ্রিমেন্ট এন্ড আদার সাপোর্ট সার্ভিসেস ফর হরিপুর ৪১২ মেঘাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট) প্রকল্প,এর ব্যয় ৮০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বিটাকের কার্যক্রম শক্তিশালী করার লক্ষ্যে টেস্টিং সুবিধাসহ টুল ইন্সটিটিউট স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ভান্ডার জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প, এর ব্যয় ১ হাজার ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ২৮ কোটি ৭৯৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
সানবিডি/ঢাকা/আহো