আলাদা সাবসিডিয়ারি গঠন করে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করতে যাচ্ছে দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম সেরা ব্যাংক ইউসিবি লিমিটেড। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ইউসিবি এর সাবসিডিয়ারি ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড কে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
২০১৩ সালে থেকে চালু হওয়া ‘ইউক্যাশ’ এর মাধ্যমে দশ লক্ষাধিক গ্রাহক কে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ‘উপায়’ নামে যাত্রা শুরু করবে ইউসিবিএল এর নতুন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। বর্তমানে ‘ইউক্যাশ’ নামে পরিচালিত ইউসিবিএল এর মোবাইল ব্যাংকের এর গ্রাহকরা স্বয়ংক্রিয় ভাবে উপায় প্লাটফর্মে যুক্ত হবে।
তবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও বিস্তৃত ও উদ্ভাবনী সেবা দিতে ইউসিবি একটি সাবসিডিয়ারি গঠনের সিধ্যান্ত নেয়। এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ শে ডিসেম্বর ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড অনুকুলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের অনুমতি দেয়।
ইউসিবি ফিনটেকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক সাইদুল হক খন্দকার বলেন, “ সকল বানিজ্যিক ও কারিগরি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মার্চেই ‘উপায়’ সেবা চালু হবে। গ্রাহককে একটা সহজ, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী আর্থিক সেবা প্রদানে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি বলেন, উপায় সেবা চালু হওয়ার দিন থেকেই ইউক্যাশ এর গ্রাহকরা নতুন মোবাইল সেবার গ্রাহক হয়ে যাবেন।
তিনি বলেন উপায় প্লাটফর্ম ব্লক চেইন ভিত্তিক। এখানে গ্রাহক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। গ্রাহকরা উপায় অ্যাপ এবং ইউএসএসডি ব্যাবহার করে সেবা উপভোগ করতে পারবেন। ‘উপায়’ এর মাধ্যমে মোবাইলে টাকা লেনদেন, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, কেনাকাটার মুল্য পরিশোধ, রেমিট্যান্স গ্রহণ, বেতন প্রদান, এয়ারটাইম ক্রয়, ইন্ডিয়ান ভিসা ফি, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট সহ নানা ধরনের ভ্যালু অ্যাডেড সেবা পাওয়া যাবে।
গ্রাহকরা দেশজুড়ে ‘উপায়’ এর এজেন্ট এবং মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক হতে এই সেবা নিতে পারবেন। সাইদুল হক বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষকে ধারাবাহিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে বেগবান করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্নের সঙ্গী হতে চায় ‘উপায়’। তিনি বলেন, ডিজিটাল আর্থিক সেবায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে উপায়।
গ্রাহক চাহিদাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে, উৎকৃষ্ট গ্রাহক সেবা, নিরাপদ লেনদেন আর নিত্যনতুন উদ্ভাবন নিয়ে সর্বদা তদের পাশে থেকে কাজ করবে ‘উপায়’। “আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কে ধন্যবাদ জানাই আমাদের লাইসেন্স প্রদানের জন্য। মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস রেগুলশন্স ২০১৮ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত নিয়ম নীতি মেনেই আমরা আমাদের সেবা পরিচালনা করবো।
২০১১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। বর্তমানে ১৫ টি ব্যাংক এই সেবাটি প্রদান করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের তথ্য মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। প্রতিদিন লেনদেনের পরিমাণ ১৮২৪ কোটি।