মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সারা দেশে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন এবং সড়ক-মহাসড়কে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনকর্ম ও স্বাধীনতার সংগ্রামের উপরে আলোচনা সভা, পুস্তিকা প্রকাশনা, গোলটেবিল বৈঠক, আলোকচিত্র ও ভিজুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন। দেশজুড়ে সংগঠনের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার ও সভা-সমাবেশ আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিতব্য সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেয়া হবে। সারাদেশে মসজিদে দোয়া মিলাদ মাহফিল ও মন্দির গির্জা প্যাগোডাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন এবং দুস্থ, এতিম, অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা করা হবে।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ক্রোড়পত্র ও বিশেষ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যাত্রাপালা, মঞ্চনাটক, পথ-নাটকের আয়োজন এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় খেলাধুলা আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি দেশজুড়ে বছরব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হবে।
শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক যৌথসভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৬ শে মার্চ ২০২১ থেকে পরবর্তী ২৬ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২৬ শে মার্চের কর্মসূচি নেয়া হবে।
যৌথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সায়েম খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতারা।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভিত গড়ে দিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসন ও দেশবিরোধী অপশাসনে পিষ্ট হতে হয়েছে। দেশকে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্রের কাতারে দাঁড় করিয়েছে। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সেখান থেকে তুলে উন্নত দেশের কাতারে যুক্ত করছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দীর্ঘ প্রতিবন্ধকতা ও বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিডিপির সকল শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। তার সুনিপুণ পরিকল্পনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশের কাতারে সামিল হতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতার কন্যার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।