স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাংশা উপজেলা এলজিইডি বাস্তবায়নাধীন ৪১টি প্রকল্পের মধ্যে ২৯ টির অগ্রগতি সন্তোষজনক। প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ ভালো হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ। প্রকল্প পরিচালকেরা অগ্রগতির কারণ হিসেবে সঠিক বরাদ্দ পাওয়া, ভালো ঠিকাদার পাওয়ার মতো যুক্তি তুলে ধরেন।
রাজবাড়ীর পাংশায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৪১টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৩৮২.৫৭ লক্ষ টাকা। এ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ প্রস্তাবিত মোট স্কীমের বা প্রকল্পের আশি শতাংশ স্কীম বা প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনিয়া উন্নয়ন প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণী পত্রের বরাত দিয়ে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পল্লী সড়ক ও কালভার্ট মেরামত কর্মসূচির আওতায় ৭টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১২৬৪ লক্ষ টাকা।
দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ১টি বাজার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৭৩ লক্ষ টাকা। মাদারিপুর, শরীয়তপুর এবং রাজবাড়ী পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ২১টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৫৯৭ লক্ষ টাকা।
অংশগ্রহণমূলক ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় ১টি ৯.৫০ কিলোমিটার পলি অপসারণ ও খাল খননের স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫২ লক্ষ টাকা। সারা দেশে পুকুর খাল উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এর আওতায় ৪টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২ লক্ষ টাকা।
ঢাকা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রস্তুতকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ১টি স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩০৩ লক্ষ টাকা। উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে বৃহৎ ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১টি স্কীম গ্রহণ করে ৬০ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১৭ লক্ষ টাকা।
রুলার ট্রান্সপোর্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট এর আওতায় ১টি ১৫.১ কিলোমিটার রাস্তার স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে । এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩১৬ লক্ষ টাকা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১টি স্কীম গ্রহণ করে ৬৫০ মিটার একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮৯৬ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রুলার ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় ৩টি ব্রিজ মেরামতের কাজ চলছে। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২২.৫৭ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ ও মাগুরা সহ আরো বেশ কয়েকটি জেলার সুবিধার জন্যে বৃহৎ প্রকল্পের আওতায় পাংশা -শ্রিপুর রোডের গড়াই নদীতে নাঙলবাঁধ-নাদুরিয়ার সংযোগ স্থলে একটি বৃহৎ ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। যাতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগযোগ স্থলের দূরত্ব প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার লাঘব হয়ে যাবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনিয়া আরো জানান, এ পর্যন্ত মোট স্কীমের প্রায় আশি শতাংশ কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। বাকি স্কীমের কাজগুলোও খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই যথাযথ মান বজায় রেখে শেষ হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আরো বলেন, যে কোনো স্কীম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথাযথ মান বজায় রেখে সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।