পাকিস্তানিদের দালালি ভুলতে পারেনি বলেই বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ‘কিন্তু’ খোঁজে বিএনপি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২১-০৩-০৮ ২১:০০:০০


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানিদের দালালি ভুলতে পারেনি বলেই বিএনপি নেতারা ৭ মার্চের ভাষণে এখনো ‘কিন্তু খুঁজে চলেছেন’। তিনি বলেন, পাকিস্তানি প্রভুত্ব মেনে চলে বলেই বিএনপি নেতারা ৭ মার্চের ভাষণে ‘স্বাধীনতা ডাক’ খুঁজে পান না।

সোমবার (০৮ মার্চ) বিকেলে ঐতিহাসিক দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের সবকিছুই পাকিস্তান কেন্দ্রিক ছিলো বলেও উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ছিলো বাঙালির স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা। মুক্তির দিশা হিসেবে দেশে-বিদেশে স্বীকৃত এ বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর গণভবন থেকে এ আয়োজনে যোগ দেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এই ভাষণে আপামর জনতা মুক্তির অনুপ্রেরণা পেলেও দেশের কিছু নির্বোধ তা স্বীকার করেনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আরেকজন বোঝেননি, তিনি আমাদের দেশের লোক। ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান তখন বলেছেন লিডার আপনি কি বললেন সব মানুষ হতাশ হয়ে চলে যাচ্ছেন সেইসময় এ কথা বলেছে। বলার সাথে সাথে আমি বললাম, আপনারা এমন মিথ্যা কথা বলছেন কেন? আপনারা তো মাঠ থেকে অনেক আগেই চলে এসেছেন, মাঠের অবস্থা তাহলে জানেন না।

একাত্তরে ২৫ ও ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের হাতে নিরীহ বাঙালি প্রাণ হারিয়েছিলো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুরু থেকেই স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তারা।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী আক্রমণ করবে এটা সবাই জানতো। সেই দিন যারা রাস্তা রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছিল, বিশেষ করে চট্টগ্রামে যারা ব্যারিকেড দিচ্ছিল ২৫ মার্চ, তাদের ওপর যারা গুলি চালিয়ে ছিল তারমধ্যে জিয়াউর রহমান একজন। অবিধ ক্ষমতায় বসে দল গঠন করেছে সেই দলের নেতারা ৭ মার্চের ভাষণের ভাষা বুঝবে না, মর্ম বুঝবে না এটা তো খুব স্বাভাবিক।

ভাষণটির ৫০ বছর পরও বিএনপি এ দিবস পালন করলেও তারা এখনো এতে কিন্তু খোঁজেন বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

তিনি বলেন, আজকে বিএনপি করার জন্য নেতার বক্তব্য আর ওই দিনের কথা শুনে আমার শুধু মনে হচ্ছে এরা আসলেই পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কোনো দালালি নিয়েই ছিল। এখনো তারা তাদের তোষামদি ও চাটুকারিতা ভুলতে পারে নাই। সেজন্য তারা কিন্তু খোঁজে। এই যে ভাষণে নাকি স্বাধীনতার কোনো ম্যাসেজই পায়নি।

দেশের মধ্যে এ ভাষণ অতীতে নিষিদ্ধ থাকলেও তা আজ বিশ্বস্বীকৃত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কি বললো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।