চীনকে দমাতে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার নেতারা এক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন। চীনের আগ্রাসী মনোভাবের লাগাম টানতেই শুক্রবার (১২ মার্চ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর শাসনকালে চীন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজস্ব ক্ষমতা জাহির করার যে ‘বেপরোয়া’ মনোভাব দেখিয়ে চলেছে। এর ফলে একাধিক দেশের কর্তাব্যক্তিদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। তাই চীনকে চাপে রাখতে আমেরিকাসহ আঞ্চলিক শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে গঠিত ‘কোয়াড’ বা চতুর্দেশীয় এক কাঠামোর আওতায় ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার সঙ্গে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই কাঠামোকে আরও মজবুত করতে প্রথমবারের মতো চার দেশকে নিয়ে শীর্ষ বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা করবেন।
এ ছাড়াও চলতি বছরেই চার নেতার মুখোমুখি বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, প্রেসিডেন্ট হবার পর জো বাইডেন যে সব আন্তর্জাতিক জোটকে সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছেন, তার মধ্যে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল উল্লেখযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেন, বাইডেনের শীর্ষ বৈঠকের উদ্যোগের ফলে এই সহযোগিতা নতুন মাত্রা পাবে। তার মতে, এর মাধ্যমে সার্বভৌম ও স্বাধীন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ অঞ্চলের প্রতি এই চারটি দেশের সমর্থনের বার্তা আরও জোরালো হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ও একইরকম কথা বলেছে।
তবে ‘চীনবিরোধী’ এমন জোট সম্পর্কে অস্বস্তি গোপন করেনি বেইজিং। ভারত উপকূলের কাছে শত্রুভাবাপন্ন চার দেশের বিশাল যৌথ সামরিক মহড়ার কড়া সমালোচনা করেছে চীন।
অন্যদিকে ভারত-চীন নিয়ন্ত্রণ রেখায় লাগাতার উত্তেজনা ও সংঘর্ষ থেকে শুরু করে পূর্ব ও চীন সাগরের উপর অধিকার কায়েম করতে চীনের একতরফা পদক্ষেপের মতো ‘বেপরোয়া' পদক্ষেপ সম্পর্কে গোটা অঞ্চলে অস্বস্তি বাড়ছে।
সূত্র : এএফপি