দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে আর্কষণীয় ও অর্থ-সমৃদ্ধ টি-টোয়েন্টি আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এ বছর হচ্ছে না। মূলত জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ব্যস্ত সূচির কারণেই এ বছর বিপিএল আয়োজন করা সম্ভব হবে না।
শনিবার (১৩ মার্চ) ঘরোয়া ক্যালেন্ডার প্রস্তুতির জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকের পর এ কথা জানান বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন যে, নির্ধারিত সময়ে জাতীয় খেলোয়াড়দের না পাওয়ায় এই বছর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিপিএল অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্তু নভেম্বরে পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ এবং ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডকে আথিয়েতা দিবে তারা। তাই আগামী বছরের জানুয়ারিতে বিপিএলের তারিখ নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘জাতীয় দল নভেম্বর মাসে পাকিস্তান সফর করতে পারে। ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড দল। জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছাড়া বিপিএল আয়োজন সম্ভব নয়। তাই আগামী জানুয়ারিতে বিপিএল করার পরিকল্পনা করছে গর্ভনিং কাউন্সিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘নভেম্বর ও ডিসেম্বর আয়োজনের সুযোগ ছিলো। কিন্তু ঐ সময় আন্তর্জাতিক সিরিজ রয়েছে। এ বছর বিপিএল হবে না, এটি ইতিবাচক বিষয় নয়। আমাদের বলা উচিত, আগামী বছরের জানুয়ারি বিপিএলের পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হবে।’
২০১৮ সালে সর্বশেষ বিপিএল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ২০১৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বাদ দিয়ে বিশেষ বিপিএল আয়োজন করা হয়। দলগুলোর স্পন্সরশীপ দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন হয়েছিলো। সফলভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের নামকরণ বঙ্গবন্ধু বিপিএল হিসাবে প্রতি বছর আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।
মল্লিক আরও জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটির ভালো অগ্রগতি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি ঠিক করতে আমরা দু’বার বৈঠক করেছি। আমাদের জাতীয় দল সারা বছর ব্যস্ত থাকবে এবং তাই আমাদের সকল বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আমাদের ডিপিএল, এনসিএল, বিসিএল এবং বিপিএল রয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুসারে, এনসিএল এই মার্চ মাসে শুরু হবে এবং কোভিড-১৯ মহামারীর পর আবারও ঘরোয়া ক্রিকেট পুনরায় শুরু করা হবে। আমরা মে মাসে ডিপিএল আয়োজন করবো।’
(বাসস)