মাগুরা সদর উপজেলা কুশাবাড়িয়া ধান ক্ষেত্রে পাশ থেকে সুমি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সুমি খাতুন কুশাবাড়িয়া গ্রামের আলামীন বিশ্বাসের স্ত্রী ও ছোট ফালিয়া গ্রামের বসির বিশ্বাসের মেয়ে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান,যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ ফসলের মাঠে ফেলে দেয়। গতকাল সোমবার সকালে কুশাবাড়িয়া গ্রামের ফসলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর ভাই মো: রুবেল বিশ্বাস জানান, কুশাবাড়িয়া গ্রামের আলামীনের সাথে সুমি খাতুনের বিয়ে হয় ৮ বছর আগে। তাদের সংসার জীবনে ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। যৌতুকের কারনে আলামীন বোনকে নির্যাতন করে। বিভিন্ন সময় সামাজিকভাবে মিমাংশার চেষ্টা করে কোন ফল পাওয়া যায়নি। আলামীন পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক। রুবেল অভিযোগ করে বলেন, আলামীন বোনকে পরিকিল্পিতভাবে হত্যা করে কুশাবাড়িয়া গ্রামের ফসলের মাঠে ধান ক্ষেতের পাশে রেখে দেয়। পরে স্থানীয়রা ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে মরদেহটি গোসল করিয়ে আলামীনের বাড়িতে রেখে যায়।
মাগুরা সদর থানা ওসি জয়নাল আবেদিন জানান,সদরের কুশায়াবাড়িয়া গ্রামের ধানের ফসলের ক্ষেত এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে । মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী আলামীনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত চলছে।