দেশে একদিকে কমে আসছে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত।অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে চড়া মূল্যে বিশ্ববাজার থেকে এলএনজি আমদানি করছে সরকার। আবার বিশ্ববাজারে এলএনজির দামও বাড়তি। সে কারণে এবার এলএনজি আমদানিতে বাড়তি টাকাও গুণতে হচ্ছে সরকারকে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে ভর্তুকি সংশ্লিষ্ট জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যে ভর্তুকি চেয়েছে তার অর্ধেক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এবার মোট ৭৬টি এলএনজিবাহী কার্গো আমদানি করা হবে। এরইমধ্যে ৩৫টি কার্গো দেশে পৌঁছেছে। এখনো ৪১টি কার্গো আমদানির অপেক্ষায়। কার্গো আমদানি, রি- গ্যাস, ফিকেশন ব্যয়, ভ্যাট, এআইটি, পোর্ট চার্জসহ এতে সরকারের ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এলএনজি সরবরাহ করতে টার্মিনালের অপারেশন চার্জ বাবদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে আরও ১৪০ কোটি টাকা দিতে হবে। সব মিলিয়ে আমদানি ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। আর চড়া দামে কেনা এলএনজি বিক্রি করে আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এ হিসাবে ঘাটতি থাকে ২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। এ ঘাটতি মেটাতে অর্থবিভাগের কাছে এই পরিমান টাকাই ভুর্তুকি চেয়েছিল পেট্রোবাংলা। যা ১৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থবিভাগ। কিন্তু এই অর্থ পেট্রোবাংলাকে পাঁচ শর্ত মেনে খরচ করতে হবে।
সানবিডি/এনজে