বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় । তার মরদেহ দেশে আসছে বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মৃত্যু হয় মওদুদ আহমদের। বিএনপির এ নেতার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, ‘মওদুদ আহমদ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মৃত্যুবরণ করেন।’রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গেলে মওদুদকে গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক মাসের চিকিৎসা শেষে ২৯ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন এই রাজনীতিক। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।
শোকবার্তায় ফখরুল বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের চলে যাওয়া নিঃসন্দেহে একটি অপূরণীয় শূন্যতা। আমি মনে করি এটা শুধু বিএনপি নয়, সমগ্র জাতি একটা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলাম আমরা। তিনি একজন ভালো অভিভাবক, গুণী পার্লামেন্টারিয়ান।
‘সরকারের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।’মওদুদের প্রশংসা করে ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গণতন্ত্রকামী মানুষ ছিলেন। আমরা সবাই দেখেছি তিনি কথা বলতেন অত্যন্ত চমৎকার এবং মার্জিতভাবে। তার বক্তব্যগুলো ছিল পরিশীলিত।’
মওদুদের মরদেহ দেশে আসা নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আগামী ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মওদুদ আহমদের মরদেহ দেশে আসবে। রাতে মরদেহ রাখা হবে ইউনাইটেড হাসপাতালে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি শুক্রবারে পার্লামেন্টে তার একটা জানাজা আদায়ের অনুমতি পাব। তারপর হাইকোর্ট এবং দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’
মওদুদ আহমদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানিকপুরে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।