জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর গত ১ জুলাই থেকে দেশের কোন কোন ব্যবসায়ী কী পরিমাণ পেঁয়াজ, খেজুর, ভোজ্য তেল, ছোলা, চিনি ও ডাল কত দামে আমদানি করেছেন তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছে। গত শনিবার থেকে শুরু করা এই তালিকা তৈরির কাজ আসন্ন ঈদ পর্যন্ত চলবে। রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাজারে কোন আমদানিকারক অতিরিক্ত মুনাফা করতে এই ছয় খাদ্যপণ্য বেশি দামে বিক্রি করে অস্থিরতা তৈরি করলে শুল্ক গোয়েন্দারা তাঁর আমদানি নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারবে। জেল-জরিমানার মতো আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে আমদানিকারকের সব তথ্য স্বরাষ্ট্র, অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকারে পাঠানো হবে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
আসন্ন রোজায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে এ ছয় পণ্যেও শুল্ককর কমানো বা মওকুফ করেছে এনবিআর। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এতে এ ছয় খাদ্যপণ্য এরই মধ্যে গত বছরের তুলনায় বেশি আমদানি করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে পাম অয়েল আমদানি করা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ২০৮ টন, গত পুরো অর্থবছর আমদানি করা হয়েছিল আট লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৫ টন।
সানবিডি/এনজে