দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সুবর্ণজয়ন্তীটা পালন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই সুবর্ণজয়ন্তীর যে অনুষ্ঠানগুলো তারা করছে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অবস্থান নেই। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোরও কোনো অবস্থান নেই। শুধু বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে এখানে দেখানো হচ্ছে, বলানো হচ্ছে যে, আপনার উন্নয়নের লৌহরি বয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ভারত, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটারের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরই মধ্যে আমাদের প্রতিবেশী চারটি বন্ধু দেশ এসে গেছে। তাদের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী এসেছেন এবং আগামী ২৬ মার্চ আমাদের বন্ধু দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন। আমরা সবসময় বলে এসছি যে, আমরা আমাদের দেশে বিদেশি বন্ধুদের স্বাগত জানাই এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে অবশ্যই আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাবো।
দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপননে বিএনপি সারা বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সেই কর্মসূচিগুলো পালন করছি। কিন্তু দুভার্গ্যক্রমে গত ১৭ তারিখ থেকে এই সুবর্ণজয়ন্তী ও বর্ষ পালন করার কারণ এবং বিদেশি মেহমানরা আসবেন সেই কারণ দেখিয়ে আমাদের কর্মসূচিগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের চলাচলে বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে ৫০ বছর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক যে অধিকার তা হারিয়ে ফেলেছি, আমরা আমাদের মানুষের অধিকারগুলো হারিয়ে ফেলেছি। এখানে যে পরিস্থিতিতে সরকার দেশ পরিচালনা করছেন সেই কোনো মতেই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়, সংবিধানকে তারা সংরক্ষণ করছেন না, এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সর্ব্যেভৗমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে এসছি যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করতে হলে বাংলাদেশে সঙ্গে ভারতের যে অভিন্ন নদীগুলো রয়েছে তার হিৎসা মীমাংসা হওয়া উচিত, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। কানেকটিভিটিতে আমার কী লাভ হচ্ছে সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত। এই কথাগুলো আমরা বরাবরই বলে আসছি।’
/এ এ খান