মুন্সিগঞ্জ সদরে সালিশে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪৭) নামের আরেক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিন্টু সদরের ইসলামপুর এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে।
এ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে। এই ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলেই মো.ইমন হোসেন (২২) ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো: সাকিব হোসেন (১৯) নামের দুইজন নিহত হন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় প্রথমে ইভটিজিংয়ের একটি ঘটনা নিয়ে রাত ১০টার দিকে বিচার সালিশ শুরু হয়। তবে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে স্থানীয় কিশোর সৌরভ ও ইমনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এমতাবস্থায় সৌরভ গ্রুপ ও ইমন গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সেই মারামারি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়।
এতে দুইজন নিহত হন। এদিকে ওই ঘটনায় বিচারকসহ গুরুতর আহত হন অন্তত পাঁচজন। যাদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢামেকে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টুর মৃত্যু হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।