চা চাষে পাহাড়ি ঢালু জমি লাগবে এমন ধারণা বদলে দিয়েছেন পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ করা কৃষকেরা । এক সময়ের পতিত জমি বা এক ফসলি জমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। শুধু তাই নয়, পার্বত্য অঞ্চল ও সিলেটের পর দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চগড়। চায়ের মান উন্নত হওয়ায় এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় বড় বাগান মালিকদের পাশাপাশি সমান তালে বাড়ছে ক্ষুদ্র চা চাষ।
গত এক বছরে জেলায় প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে চা চাষের পরিধি বেড়েছে। জেলায় গড়ে উঠেছে ১৮টি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা। নগদ মূল্যে কারখানা মালিকরা চায়ের পাতা কেনায় চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে চলতি চা মৌসুমে জেলায় এক কোটি কেজি চা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় চা চাষিরা বলছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় চা চাষে লাভ বেশি। তাছাড়া একবার চা চাষ করে ৮০ থেকে ১০০ বছর পাতা সংগ্রহের সুযোগ থাকায় তারা দিন দিন চা চাষের পরিধি বাড়াচ্ছে।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন বলছেন, প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়ায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন চা চাষিরা।
পঞ্চগড় চা বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০২ সালে ৪৫৫ একর জমিতে সবুজ চা চাষ করা হয়। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১শ’ ৭০ একর জমি। গত বছর জেলায় ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩শ’ ২৫ কেজি চা উৎপাদিত হয়।
/খান