গত ২৭ ও ২৮ মার্চ বিক্ষোভ ও হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের সহিংসতার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত ও শিবির সম্পৃক্ত, বিএনপির মদদে এই তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের জবাব দিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, হেফাজতের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, হরতাল ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দেশ পরিচালনা ব্যাহত করতেই এসব অপচেষ্টা। শুধু হেফাজত নয়, বাঁশের কেল্লার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে যারা আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠন করেছিল তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করে। রণকৌশল জানান দিচ্ছে। এতে জামায়াত-শিবির, হরকাতুল জিহাদ ও বিএনপির মদদ থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকাল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের নেতা, মন্ত্রী, অনেক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে হেফাজতকে বিএনপি ইন্ধন দিয়েছে। কর্মসূচি পালনে সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু হেফাজতের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে অবৈধ সরকারের পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মানুষের হত্যার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। সরকার প্রচার চালাচ্ছে, আমরা হেফাজতকে সমর্থন দিয়েছি। উসকানি তো সরকার দিয়েছে। হেফাজত কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তারা বায়তুল মোকাররমে সাধারণ একটি বিক্ষোভ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গণমাধ্যমে ছবিও এসেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের এক নেতা গুলি করছে। এই যে মানুষের ওপর আঘাত এসেছে, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। আমাদের হিসাবে গত কয়েক দিনে ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাস নিয়েও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় করোনা সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সবসময় একটা মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে যে, খুব চমৎকারভাবে সরকার করোনা সমস্যাটাকে সমাধান করছে, তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে। যেটা একেবারেই মিথ্যা কথা। আজকে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে, ভয়ংকরভাবে বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ একটা ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের যে উদ্যোগ তা লক্ষ্য করা যায়নি। সরকারের পক্ষ থেকে যে দৃশ্যমান একটা ক্যাম্পিং থাকবে, প্রচার থাকবে, উদ্যোগ থাকবে- সেটা কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
/এ এ খান