রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের এটিবিবি ব্রিকসের মাটি বহনকারী গাড়ীর চাকায় ও মাটিতে নষ্ট হচ্ছে সরকারের প্রায় ১১ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক। ইট ভাটার স্বার্থে মাটি বহন করায় এক দিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে সরকারী রাস্তা, তেমনি অন্যদিকে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচলরত এই এলাকার সাধারণ পথচারীদের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পাংশার নন্দির পুকুর পাড় থেকে হোসেনডাঙ্গা পর্যন্ত সরকারী এলজিইডি গ্রামীণ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, কলিমহর ইউনিয়নের সাঁজুরিয়ার এই ইটভাটা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে অবৈধ যান ট্রাকটার ও ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তার উপর দিয়ে অতিরিক্ত মাটি লোড নিয়ে যাতায়াত করায় সরকারী এলজিইডি সড়কটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এই সড়কটি দিয়ে কলিমহর, সরিষা সহ আরো বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামের সাধারণ মানুষ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচলসহ স্থানীয় কৃষি ও সবজি এবং ফসল বাণিজ্যের কাজে ব্যবহৃত ছোট যান চলাচল করে থাকে। কিন্তু এই সড়ক দিয়ে অতিরিক্ত মাটি লোড নিয়ে অবৈধ যান চলাচল করায় পথচারী, চাকরিজীবি ও স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
ভাটা পাশ্ববর্তী বসবাসকারি ব্যক্তিরা জানান, ফসলি জমির সংস্পর্শে ইট ভাটা নির্মান করায় ফসলের ফলন হচ্ছেনা। ইট ভাটার রঙ্গিন ধুলার কারণে কোমলমতি ছেলে মেয়ে ও পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। কেবল একটি ভাটাই নয়, রাজবাড়ী জেলার সকল উপজেলায় এমন অসংখ্য ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
কোথাও কৃষিজমিতে, কোথাও বা ঘনবসতি এলাকায় গড়ে ওঠা এসকল ইটভাটাগুলোর কারনে একদিকে যেমন সরকারের বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক গুলো ধ্বংস হচ্ছে অপরদিকে সরকারের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বছরের পর বছর চরছে এই সকল ইট ভাটা। অসুস্থ্য হচ্ছে মানুষ ও অন্যান্য জীবজগৎ। এমতাবস্থায় সরকারী এলজিইডি সড়ক নষ্ট, পরিবেশ নষ্ট, ফসলী জমি নষ্টকারী এসকল ইট ভাটার বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।