করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ সময় অ্যাজমা রোগীদের খাবারের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কিছু খাবার আছে যেগুলো শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে পারে, আবার কিছু খাবার তা বাড়িয়ে তোলে। এ কারণে অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং অ্যাজমার লক্ষণগুলো হ্রাস করতে খাদ্যতালিকায় কিছু নির্দিষ্ট খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
অ্যাজমা রোগীরা কী এড়িয়ে চলবেন-
১. অ্যাজমা আছে এমন লোকেদের নির্দিষ্ট কিছু খাবারে অ্যালার্জি আছে। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের এই ধরণের খাবার এড়ানো উচিত। অ্যাজমা রোগীদের সাধারণত কলা, আপেল এবং আঙুর থেকে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এই ফলগুলি শরীরে প্রচুর পরিমাণে কফ তৈরি করে যা অ্যাজমা রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এ জাতীয় ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
২. অ্যাজমা রোগীদের জন্য ঠান্ডা ও টক জাতীয় জিনিস ক্ষতিকারক হতে পারে। যেমন- আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি, লেবুর আচার ইত্যাদি খাবার থেকে অ্যাজমা রোগীদের দূরে থাকা উচিত। এটি অ্যাজমার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অ্যাজমা রোগীদের কী খাওয়া উচিত-
১. অ্যাজমা রোগীদের পাশাপাশি, সবারই এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। করোনাকালে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবুজ শাকসবজি, টমেটো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এ ছাড়া যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা না থাকে তাহলে মধুও খেতে পারেন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
২. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি অ্যাজমার সমস্যা থাকে, তাহলে কেবল খাওয়া-দাওয়া নয় বরং ব্যায়ামও করুন। তবে বেশি পরিমাণে করা ঠিক নয়। এতে সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এগুলি ছাড়াও ক্যালোরি গ্রহণের দিকেও নজর রাখুন। কারণ স্থূলকায় মানুষের মধ্যে অ্যাজমার সমস্যা বেশি দেখা যায়। জাঙ্ক ফুডের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। চা বা কফিও বেশি পরিমাণে খাওয়া বিপজ্জনক। এতে গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তখন অ্যাজমার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।