ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা অতিকৌশলে রোজার আগেই তেল, চিনি, চাল, ডাল এসব নিত্যপণ্যের দাম একদফা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় সংসার চালাতে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কিছুটা কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করছিল। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করছিল। তবে এবার সে স্বস্তিটুকুও আর থাকলো না। সরকারি সংস্থা টিসিবি এবার তাদের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। আর এই মূল্যবৃদ্ধি (১ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।
টিসিবি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক এবং অমানবিক বলে আখ্যায়িত করেছে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকারি সংস্থা টিসিবির পণ্যের দামবৃদ্ধি এটা অমানবিক। টিসিবির মাধ্যমে গরীব মানুষদের কিছুটা কম দামে পণ্য দেওয়া হয়। এখন সে পণ্যের দামও যদি বাড়ানো হয় তাহলে গরীব মানুষ যাবে কোথায়। সরকার পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যেমন ব্যর্থ তেমনি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেও ব্যর্থ হচ্ছে।
দাম বাড়ার বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, মাঝে মাঝেই পণ্যের দাম সমন্বয় করে টিসিবি। তারই ধারাবাহিকতায় রমজানে নতুন করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা অযৌক্তিক কিছু না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে খোলাবাজারে প্রথম ধাপে পণ্য বিক্রি করে আসছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রমজান উপলক্ষে (১ এপ্রিল) থেকে এই কার্যক্রম কিছুটা বাড়িয়ে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে।
তবে দ্বিতীয় ধাপে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি কেজি তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১০০টাকা এবং ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া নতুন করে প্রতি কেজি ছোলার দাম ৫৫ টাকা ও খেজুরের দাম ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে টিসিবি।
চলমান ৪০০ ট্রাকের মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়ে রমজান উপলক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ট্রাকসংখ্যা হবে ৫০০টি। এর মধ্যে রাজধানীতে পণ্য বিক্রি করবে ১০০ ট্রাক। আর ট্রাকসেলে যুক্ত হবে ছোলা ও খেজুর। এসব পণ্য আজ থেকে ই-কমার্সের মাধ্যমেও বিক্রি করবে সংস্থাটি। কেউ ট্রাক থেকে না কিনে ই-কমার্স অথবা সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্রর মাধ্যমেও এসব পণ্য কিনতে পারবেন।
/এ এ খান