শেরপুরে নতুন জাতের আলুবীজ সানশাইনের বাম্পার ফলন হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের মধ্যে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় নকলা উপজেলায় চলতি মৌসুমে নতুন এই বীজ আলুর ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ, এই আলু চাষ করে কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ও নারায়ানখোলা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে, কুইন অ্যানি আটাডো, গ্র্যানোলা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এস্টারিক্সসহ ২০টি জাতের বীজ আলু চাষ করা হয়। কিন্তু এ বছর সানশাইন জাতের বীজ আলু চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন হচ্ছে বেশি।
চলতি মৌসুমে নকলা উপজেলায় ১৯টি ব্লকে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ ৩৬ কৃষকসহ অর্ধশতাধিক আলুচাষিকে নির্বাচন করে বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে ২৭০ একর জমিতে এবং রফতানি করার লক্ষ্যে আরও ৩০ একর জমিতে বিএডিসির আওতায় আলু চাষ করা হয়েছে।
এসব জমিতে প্রতি একরে এক মেট্রিক টন হারে ৩০০ মেট্রিক টন বিএডিসির আলুবীজ রোপণ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৫২১ মেট্রিক টন থেকে ১ হাজার ৬০৭ মেট্রিক টন অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আলু বাছাই কাজেও ব্যস্ত সময় পার করে সংসারে বাড়তি আয় করছেন স্থানীয় শ্রমজীবী নারীরা।
নকলা বিএডিসি উপপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গুণগত মান ও অধিক উৎপাদনসম্পন্ন সানশাইন বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে (বিএডিসি) আলুর বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শনে গিয়েছি। মাঠ দিবসের মাধ্যমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরম্যান্স যাচাইসহ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। উৎপাদিত এই আলু বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিএডিসির আওতায় কৃষকের উৎপাদিত আলু গ্রেডিং করার পর সরকার-নির্ধারিত দামে কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে। পরে সরকার-নির্ধারিত দামে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হবে। এতে আলুচাষিরা দুই দিক থেকেই লাভবান হবেন।