ফিশ অয়েল কেন আপনার জন্য উপকারী
প্রকাশ: ২০১৬-০১-০৯ ১২:৫৩:১৬
সাধারণত ফ্যাটি ফিস থেকে মাছের তেল সংগ্রহ করা হয়। পুষ্টিবিদ ও পেশাদার স্বাস্থ্যবিদদের মাছের তেল নিয়ে আগ্রহের কারণ হচ্ছে ডোকোসা হেক্সানোইক এসিড (DHA) ও ইকোসাপেন্টানোইক এসিড (EPA) নামক ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতি।
তৈলাক্ত মাছের এক টুকরাতে ৩০% এর বেশি তেল থাকে। তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যবিদেরা ফিশ অয়েলের স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার বা সম্পূরক হিসেবে গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।
ফিশ অয়েলের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো জেনে নেই আসুন:
১। হৃদস্বাস্থ্যের জন্য আমেরিকান হার্ট এ্যাসোসিয়েশনের মতে, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ কমাতে সাহায্য করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড খারাপ কোলেস্টেরল LDL এর লেভেল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল HDL এর লেভেল বৃদ্ধি করে। ফিশ অয়েল স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
২। ওজন কমানোর জন্য ওজন কমাতে ফিশ অয়েল অনেক জনপ্রিয়। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর Peter Howe তার একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, ফিশ অয়েল ব্যায়াম করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন।
৩। অষ্টিওআরথ্রাইটিসের উপসর্গ কমায় University of Bristol এর একটি গবেষণায় ফলাফলে জানা যায় যে, ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড অষ্টিওআরথ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনার অস্থি সন্ধিতে ব্যাথা থাকে তাহলে প্রতিদিন ফিশ অয়েল খেলে অস্থি সন্ধির প্রদাহ কমবে।
৪। ইমিউনিটির উন্নতি করে ফিশ অয়েলের ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে ঠান্ডা, কাশি ও ফ্লু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ফিশ অয়েলে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা রক্ত ও কোষ কলার ইনফ্লামেশন কমায়। এছাড়াও গেস্ট্রোইন্টেসটাইনাল ডিজঅর্ডার, সিলিয়াক সমস্যা, অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা, অ্যাংজাইটি, বিষণ্ণতা, চোখের সমস্যা, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, আলঝেইমার্স ইত্যাদি রোগের নিরাময়ে সাহায্য করে। শুষ্ক ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে, তরুণদের স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায় মাছের তেলের ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড।
Investigative Ophthalmology & Visual Science এ প্রকাশিত কানাডিয়ান গবেষকদের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, “পর্যাপ্ত পরিমাণে DHA সমৃদ্ধ খাবার খেলে বয়সের কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে”। সাধারণত সাধু পানির মাছের চেয়ে সামুদ্রিক মাছে ফ্যাট বেশি থাকে যেমন- স্যামন, টুনা ইত্যাদি। কোন প্রকার সম্পূরক ঔষধ গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস