জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা জয়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, ইতোমেধ্যে ৬০ লাখ বাংলাদেশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুহারা হয়েছে। তারপরও আমরা ১ কোটি ১০ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছি, আর সেজন্য আমাদেরকে পরিবেশগত মূল্যও চুকাতে হচ্ছে। এর ক্ষতিপূরণ আমাদের কে দেবে?
গ্লাসগোতে ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬) বসছে এ বছরের শেষেই। আর আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনকে অর্থবহ করতে সিভিএফ-কপ২৬ ঐক্যের আহ্বানও জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ উন্নয়নশীল দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সদস্য, জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের ভূমিকাই যে সবচেয়ে কম, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা লিখেছেন, জলবায়ু অবিচার বন্ধের জন্য উদ্যোগী হওয়ার সময় এসেছে এখন।
‘প্রকৃতির রুদ্ররোষের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ না হলে আমাদের পরাজয় নিশ্চিত। যে প্রকৃতি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে, খুব সচেতনভাবে আমরা তাকে ধ্বংস করে চলেছি।’
‘গ্রেটা থুনবার্গ অথবা বাংলাদেশের কোস্টাল ইয়ুথ অ্যাকশন হাবের তরুণ পরিবেশকর্মীদের আমরা কোন পৃথিবী রেখে যাব? কপ২৬ এ তাদের ভবিষ্যত আমরা জলাঞ্জলি দিতে পারি না।’
নিবন্ধের শুরুতেই শেখ হাসিনা স্মরণ করেছেন ২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার কথা।