করোনাভাইরাস মহামারিকালে অপ্রতুল সম্পদ ব্যবহার করেও রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও অন্যান্য চিকিৎসা পেশাকর্মীরা। তাদের এই অবদানের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে 'বাংলাদেশ মেডিকেল টিচার্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট' ও চিকিৎসকদের সংগঠন 'প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটি'।
করোনাকালে বিশেষ অবদান রাখা চিকিৎসক, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে 'চিকিৎসক পদক' দেওয়া হবে। এ বছর চিকিৎসক পদক পেয়েছেন ১৪ জন চিকিৎসক ও ৩ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও অন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ পেশার ২জনকে এ পদক দেয়া হয়।
বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে অনলাইনে এ পদক ঘোষিত হয়। প্ল্যাটফর্মের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ মেডিকেল টিচার্স ওয়েলফেয়ারস ট্রাস্ট ও প্ল্যাটফর্ম অব মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে ১ থেকে ৭ এপ্রিল চিকিৎসক সপ্তাহ পালন করে। ‘স্বাস্থ্যখাতের সকল অংশে চিকিৎসকদের সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত এক আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম শর্ত’-প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এ চিকিৎসা সপ্তাহ পালন করা হয়।
চিকিৎসক পদক পেলেন যারা
পদক প্রদানের ক্ষেত্রসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, চিকিৎসক ব্যসিক এন্ড এলায়েড
২. অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, চিকিৎসক, ব্যসিক এন্ড এলায়েড
৩. অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, চিকিৎসক, মেডিসিন এন্ড এলায়েড
৪. অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক, চিকিৎসক, মেডিসিন এন্ড এলায়েড
৫. অধ্যাপক ডা. এ জেড এন মাইদুল ইসলাম, চিকিৎসক, মেডিসিন এন্ড এলায়েড
৬. অধ্যাপক ডা. মো. খলিলুর রহমান, চিকিৎসক, সার্জারি এন্ড এলায়েড
৭. ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, চিকিৎসক, সার্জারি এন্ড এলায়েড
৮. অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, চিকিৎসক, গাইনোকোলজি এন্ড এলায়েড
৯. অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম, চিকিৎসক, গাইনোকোলজি এন্ড এলায়েড
১০. অধ্যাপক ডা. এম কিউ কে তালুকদার, চিকিৎসক, পেডিয়াট্রিক্স এন্ড এলায়েড
১১. অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, চিকিৎসক, চিকিৎসা গবেষণা
১২. অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানু, চিকিৎসক, চিকিৎসা গবেষণা
১৩. অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান মোল্লা, চিকিৎসক, ডেন্ট্রিস্ট্রি এন্ড এলায়েড
১৪. অধ্যাপক ডা. এম মনির হোসেন, চিকিৎসক, সমাজসেবা
১৫. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (হাসপাতাল সরকারি পর্যায়)
১৬. বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল (হাসপাতাল বেসরকারি পর্যায়)
১৭. হাইপারটেনশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর ( সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবা)
১৮. জেড আই খান পান্না (আইনজীবী)
১৯. মোহসীন-উল হাকিম (সাংবাদিক, যমুনা টিভি)
অনুষ্ঠানে প্ল্যাটফর্ম অফ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল সোসাইটি'র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফয়সাল বিন সালেহ বলেন, "আজ আমাদের জন্য অনেক আনন্দের একটি দিন। মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পরবর্তী সময়ে এমনকি করোনাকালেও চিকিৎসকদের অনেক অবদান ছিল। তাই ১-৭ তারিখ প্ল্যাটফর্ম এবং বাংলাদেশ মেডিকেল টিচার্স ওয়েলফার ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। এরকম পদক প্রদান চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কমন ছিলো না। আমরাই মনে হয় প্রথম শুরু করেছি। আমরা আরো যে চিকিৎসক সংগঠন আছে তাদের সাথে কথা বলে এটাকে কিভাবে মডিফাই করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো।"
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব ডা. মো. এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, অনুষ্ঠানটির আয়োজক প্রতিষ্ঠান একটি চমৎকার কাজ করেছেন। যারা বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একটি বিষয় সবার নজরে আনতে চাই, বাংলাদেশের সমসাময়িক করোনা ব্যবস্থাসহ ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের অনেক চিকিৎসক নিয়োজিত ছিল, এমনকি অনেক হাসপাতালের পরিচালকও অবদান রাখেন। তাই মাঠপর্যায়ে কাজ করা এসব চিকিৎসকদেরকে যাতে ভবিষ্যতে সম্মানিত করা হয় সে আশা করি।
/এ এ