রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুরের কোল ঘেষে প্রবাহিত পদ্মা নদী। আর নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত নদীর এই অংশে জেগে থাকে চর। আর ধুধু এই বালির চরে যাত্রী ও পথচারীরা পার হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ীতে করে।
এব্যাপারে পদ্মা নদীর উপকুলে বসবাসরত হাবাসপুরের একাধিক বাসিন্দা জানান, বৈরী আবহাওয়া এবং পরিবেশ গত কারনে প্রতি বছরই হাবাসপুরের পদ্মা নদীর খেওয়া ঘাট থেকে পাংশার অংশ পর্যন্ত নদীতে প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ বালির চর জেগেছে। তবে উত্তরে পাবনা জেলার সাত বাড়ীয়া উপজেলা অংশে পদ্মা নদীর গতিপথ সচল আছে।
পাবনা জেলার সাত বাড়ীয়া খেওয়া ঘাট থেকে সাত বাড়ীয়া পর্যন্ত যাত্রীরা নৌকায় নদী পার হওয়ার পর পরই তাদেরকে ঘোড়ার গাড়ীতে করে ধুধু এই বালির চর পাড়ি দিয়ে হাবাসপুর খেওয়া পর্যন্ত আসতে হয়।
চৈত্রের উত্তপ্ত এই বালি পথে ভ্যান রিকশা ইজিবাইক কিংবা অন্য কোন পরিবহন চলাচলের অযোগ্য এক কথায় অচল। যে কারনে যাত্রীদের এই পথ অতিক্রমের একমাত্র প্রধান পরিবহন ঘোড়ার গাড়ী।
আর এই দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে যাত্রীপ্রতি গুনতে হয় ৩০-৪০ টাকা। অনেক যাত্রীর ঘোড়ার গাড়ী ভাড়ার টাকা না থাকায় শিশু এবং ব্যাগ নিয়ে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা ঘোড়া গাড়ীতে পদ্মা নদীর ধুধু বালির চর পার হচ্ছে। সরোজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে আমাদের।