বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেমের সাফল্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। ‘৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম ২০ মিলিয়ন (২ কোটি) প্রান্তিক জনগণকে আলোকিত করেছে। ৯৯ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে যা মুজিববর্ষেই শতভাগ হবে।’
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) অনলাইনে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ প্রকাশিত ‘লিভিং ইন দ্য লাইট : দ্য সোলার হোম সিস্টেমস স্টোরি’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারে প্রণোদনা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় উৎস হচ্ছে সৌরশক্তি। সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ যাবৎ প্রায় ৪৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে যার ২৫০ মেগাওয়াট এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অফগ্রিড এলাকায় স্ট্যান্ড এলোন হিসাবে স্থাপিত সোলার হোম সিস্টেম থেকে।’
‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতিতে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হয়। নাবায়নযোগ্য উৎস হতে বর্তমানে ৭২২ দশমিক ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে কিন্তু ২০৪১ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৭ শতাংশ নাবায়নযোগ্য উৎস থেকে করা হবে,’ বলেন নসরুল হামিদ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির অর্থায়ন, কারিগরি ও মানসিক সহযোগিতা, বিক্রয়োত্তর সেবা, ভৌগলিক প্রেক্ষাপট সন্নিবেশিত ‘লিভিং ইন দ্য লাইট: দ্য সোলার হোম সিস্টেমস স্টোরি’ বইয়ের প্রশংসা করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গবেষণা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় বইটি ব্যাপক সহযোগিতা করবে।’
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়াং টেম্বন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক মাহমুদ মালিক সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
/এ এ