কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে মাদক সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফামিদ (৪০) নামে এক মাদক চোরাকারবারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই সৎ ভাই। রোববার সকালে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফামিদ জামালপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার ওরফে নান্দু ডাকাতের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের শীর্ষ মাদক চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসী ফামিদ সকালে নিজ বাড়ির পাশে একটি দোকানে বসে চান পান করছিলেন। এ সময় পেছন থেকে সৎ ভাই মিলন ধারালো হাসুয়া দিয়ে ফামিদের গলায় কোপ দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ফামিদের লাশ উদ্ধার করে।
দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, নিহত ফামিদ খারাপ প্রকৃতির লোক ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। মিলনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফামিদ হত্যা মামলায় ভারতে ১৪ বছর কারাভোগের পর ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসেন। তবে দেশে ফিরে ফের মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তার একের পর এক অপকর্ম নিয়ে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। ইতোপূর্বে তাকে আটকের জন্য পুলিশ একাধিকবার সীমান্তে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়।