মাদারীপুর জেলায় এবার ব্যাপক সরিষা চাষ হয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সরিষা তেলের চাহিদা বাড়ায় এখানকার চাষিরা সরিষা চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
গবাদি পশুর খাবার,মৎস্য খাবার ও মাটির জৈব সার হিসাবে সরিষার খৈলের বিশেষ চাহিদা থাকায় এই অন্চলে সরিষা চাষ ক্রমেই বেরে চলছে।
সরিষা চাষ, উৎপাদন,তেল ভাংগানো ও খৈল কেনা -বেচাঁর সাথে জেলার প্রায় পাচঁ হাজার লোক সম্পৃক্ত রয়েছে। মাদারীপুর জেলায়' মাঘি' ও' লাই' নামে দু' ধরনের সরিষা আবাদ হয়। মাঘি সরিষা, লাই সরিষা থেকে এক মাস আগে আবাদ হয় এবং পাকেও এক মাস আগে।
সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ গ্রামের সরিষা চাষী মেরজন খালাসী( ৪৮) জানান,সেচ দিতে পারলে সরিষা ফলন ভাল হয়।এবার ৫৫ শতক জমিতে তার ১২ মন সরিষা উৎপাদন হয়।গত বছর মৌসুমে প্রতিমন সরিষা বিক্রী হয়েছে ১৮ শ' টাকা। এবার প্রতিমন বিক্রী হচ্ছে ২৮ শ' টাকা থেকে তিন হাজার টাকা। এছাড়া এলাকার ছালাম মোল্লা ( ৬০), সুলতান মোল্লা (৫০) বারেক কাজি (৬০) হাবি সিকদার(৫০) মিজান কাজি(৪০), জুলহাস বেপারি(৫৫) প্র মুখ সরিষা আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে।
মাদারীপুর বিসিক শিল্প নগরী ও শহরে ১০ টি তেল ভাংগানো মেশিনে দিন- রাত সরিষা থেকে তেল উৎপাদন চলছে। এখানে প্রায় ৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। বাজারের সব মুদি দোকানে অন্য মালের সাথে প্রচুর খৈল বিক্রি হয় বলে স্হানীয় দোকানদারদের কাছ থেকে জানা গেছে। সরিষার বহুমুখি ব্যবহারের ফলে এ জেলায় এর চাষাবাদও দ্রূত বেড়েছে।
মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিস জানায়,চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এরমধ্য সদর উপজেলায় ৪৫০০ হেক্টর,কালকিনি উপজেলায় ৪২০০ হেক্টর, রাজৈরে ২১০০ হেক্টর ও শিবচরে ৩২০০ হেক্টর। মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,এ বছর আবহাওয়া শুস্ক থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।