সুবহে সাদিকের আগে থেকে এবং সুর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পানাহার থেকে বিরত থেকে থাকার নামই হলো রোজা। টানা ১৫/১৬ ঘণ্টা না খেয়ে গরমের দিনে রোজা রাখা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বাইরের দেশগুলোতে এ সময়সীমা আরো বেশি। গরম এতক্ষণ পানাহার থেকে বিরত থাকলে ডিহাইড্রেশন, মাথা ব্যাথার মত সমস্যা দেখা দিতে পার। তবে মুসলিম ধর্মালম্বীদের জন্য রোজা ফরজ হওয়ায় সকল ধর্মপ্রাণ মানুষ রোজা রাখেন। গরমেও কীভাবে সুস্থ ভাবে রোজা রাখা যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পর্যাপ্ত ঘুম:
ঘুম কম হলে মানুষ কাজ করা শক্তি হারায়। এই গরমে রোজা রেখে কম ঘুমালে হিট স্ট্রেস দেখা দেয়। দিনের বেলা যেহেতু রোজা রাখা হয় তাই রাতে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
সেহেরি খাওয়া:
রমজান মাসে মুসলিমরা শেষ রাতে সেহেরি খেয়ে সারাদিন রোজা রাখার নিয়ত করে। সেহেরি খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ্। সারাদিনের কর্মেশক্তি যোগায় এই সেহেরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেহেরি না খেলে বা কম ঘুমালে হিট স্ট্রেস হতে পারে।
ক্যাফেইন বাদ দেওয়া:
রমজান মাসে চা, কফি, কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো। আর খেলেও তা যেনো সেহেরির সময় না হয়। কারণ চা কফি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। সেই সাথে সেহেরিতে চা, কফি খেলে প্রসাবের সাথে শরীরের লবণ বের হয়ে যায় যা সারাদিন রোজা রাখার জন্য জরুরি।
সূর্যের আলোয় কম থাকা:
সূর্যে শরীরের উপকারী ভিটামিন ডি থাকলেও গরমে রোদের মধ্যে যত কম থাকা যায় ততো ভালো। যাদের রোদের ভিতর কাজ করতে হয় তাদেরকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে কাজের মধ্যে। না হলে রোজা রেখে গরমে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
তরল খাবার:
সারাদিনের প্রচণ্ড রোদ গরমে শরীরে পানি বা পানিজাতীয় খাবারের চাহিদা থাকে অনেক। ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত বেশি করে পানি, পানি জাতীয় ফল, তরল খাবার খেতে হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার:
সারাদিন রোজা রেখে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ ভাজাপোড়া খেতে খুব আগ্রহী। তবে প্রতিদিন এমন খাবার খেলে একেতো শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দেবে তারপর ওজন চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এজন্য তৈলাক্ত খাবার বাদ দিয়ে ফলমূল, শাকসবজি, প্রোটিন , দুগ্ধজাতীয় খাবার খেতে হবে। মাঝেমধ্যে চাইলে অল্প কিছু ভাজাপোড়া খাওয়া যেতে পারে।
ধীরে সুস্থে খাওয়া:
সারাদিন রোজা রাখার পর একসাথে সব খাওয়া ঠিক না। আস্তে ধীরে খাবার খেতে হবে। সারাদিনের রোজার পর ইফতারে খাওয়া হলে মস্তিষ্কের বিষয়টি বুঝতে ২০ মিনিট সময় লাগে। এজন্য ধীরে সুস্থে খাবার খেতে হবে। সেক্ষেত্রে খেজুর আর লবণ পানি রোজা ভাঙাই উত্তম কারণ এ খাবারগুলো দ্রুত মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে পারে।
সূত্র: গালফ নিউজ