বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেবেলপমেন্ট আপডেট-মুভিং ফরোয়ার্ড : কানেক্টিভিটি এন্ড লজিস্টিকস টু স্ট্রেন্থ কম্পিটিটিভনেস’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানী ফিরে আসা, অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স প্রবাহ শক্তিশালী এবং চলমান টিকাকরণ কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের নতুন লক্ষণ দেখাচ্ছে।
সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রতিবেদনটি ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। অপরদিকে বিশ্বব্যাংকের দুই জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ বার্নার্ড জেমস হ্যাভেন এবং মাতিয়াস হেরেরা দাপ্পে দুটি পৃথক মূলভাব উপস্থাপনা করেন।
মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, কোভিড-১৯ এর অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। পুনরুদ্ধারের বেশিরভাগ গতি নির্ভর করবে কত দ্রুত গণ টিকাকরণ করা যায় তার উপর। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক একটি স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করবে, যা বাংলাদেশকে সবুজ, আধুনিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করবে।
২০২১ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলমান টিকাকরণ অভিযানের গতি, গতিশীলতা সীমাবদ্ধতার পরিমাণ ও সময়কাল এবং বিশ্ব অর্থনীতি কত দ্রুত পুনরুদ্ধার করে তার উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.৬ থেকে ৫.৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
ঋণদাতা সংস্থা বলেছে, রপ্তানি চাহিদা জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনে পুনরুদ্ধার, বেসরকারী বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করণের মাধ্যমে নির্মাণে প্রত্যাবর্তন এবং টিকাকরণ প্রচারণার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি দ্বারা প্রবৃদ্ধি সমর্থন করা হবে। মুদ্রাস্ফীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের চাওয়া সম্ভাব্য ৫শ’ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তার অগ্রগতি সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে মার্সি টেম্বন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিশ্বব্যাংক দল ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে এবং এই মিশনের শেষে এটি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে এর জনগণ এবং এর জন্য তাদের সুস্থ, শিক্ষিত এবং একটি ভালো জীবিকা থাকা দরকার।
এই মহামারী পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে কান্ট্রি ডিরেকটর বলেন, মহামারী আঘাত হানার সময় বাংলাদেশ অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে এবং এই ধাক্কা সত্ত্বেও জনগণকে কর্মসংস্থানে রাখার জন্য তারা বেশ কিছু উদ্দীপনা প্যাকেজও চালু করেছে।
সূত্র: বাসস