চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানায় জমিজমা নিয়ে সালিস বৈঠকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পিটুনিতে ইস্রাফিল মোল্লা (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে থানার গেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই জনপ্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ইস্রাফিল মোল্লা দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত জোনাব আলী মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের বজলুর রশিদ ও নজরুল ইসলামের মধ্যে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় শামসুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে দামুড়হুদা থানায় একই গ্রামের বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা থানা পুলিশ উভয়পক্ষকে নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে থানা চত্বরে সালিস বৈঠকে বসে। সালিস বৈঠক শেষের এক পর্যায়ে থানার সামনে ডেকে নিয়ে বজলুর রশিদের পক্ষের বৃদ্ধ ইস্রাফিল মোল্লাকে চড় থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মেরে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সালিসের এক পর্যায়ে দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাদি নজরুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে আক্রমণাত্মকভাবে ইস্রাফিলকে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে তাকে চড়-থাপ্পড় কিল-ঘুষি ও গলা টিপে ধাক্কা মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে শুক্রবার দুপুরে দু পক্ষের নিয়ে সালিস বৈঠকে বসা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে সালিস শেষ হলে তারা থানার বাইরে বেরিয়ে পড়ে। থানার বাইরে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সামনে ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে বজলুর রশিদ পক্ষের লোকজন। এসময় শহিদুল ইসলাম ওই পক্ষের ইস্রাফিলকে ধাক্কা ও ঘুষি মারলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।