রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমবেশি বাড়লেও সবচেয়ে বেশি এর প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে। ইফতারির উপকরণ বেগুনির মূল উপাদান বেগুনের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির।
রাজধানীর একাধিক সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫০ টাকা করে।
হাতিরপুল বাজারের এক বিক্রেতা জানান, রোজার প্রথম দিন থেকে বেগুনের দাম বাড়তি। এই দাম প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তে থাকায় এর কেজি প্রতি দর ১২০ টাকায় পৌঁছেছে। এরজন্য পাইকারি বাজারে বেগুনের দাম বৃদ্ধির দোষ দিয়েছেন ওই বিক্রেতা।
অবশ্য, কারওয়ান বাজারের পাইকারি এক বিক্রেতা জানান, রোজায় বেগুনের চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে। তাই, সরবরাহ ঘাটতির কারণে দাম বাড়ার অভিযোগ নাকচ করে দেন ওই বিক্রেতা।
সজনের ডাটার বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। বরবটি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ঢেঁড়সও বিক্রি হচ্ছে এই দামে। শীতের সবজি শিমের দাম কমে ৪০ টাকায় নামলেও রোজা শুরু হওয়ায় তা ৬০ টাকা উঠেছে। রোজায় আচমকা দুই থেকে তিনগুণ দাম বেড়ে যাওয়া শশার দর কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
সবজির দাম নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ধানমণ্ডির অধিবাসী মো. আতিক। অস্বাভাবিক এই দাম বৃদ্ধির জন্য বিক্রেতাদের কাসাজিকে দুষছেন তিনি। এই মহামারির মধ্যে বিক্রেতাদের কারসাজির কথা তুলে ধরে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বাজারগুলোতে সরকারি তদারকি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের বেশ কয়েকজন ক্রেতা।
এই সপ্তাহে বেশিরভাগ সবজির দাম চড়া থাকলেও কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ঢাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ টাকা কম। অবশ্য, কমেনি পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি এবং লেয়ার মুরগির দাম । গত সপ্তাহের মতোই সোনালী মুরগির ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা এবং লেয়ার মুরগির ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।