হাকালুকি হাওড়ে প্রতি হেক্টরে ধান উৎপাদন ৬.৪৯ টন

উপজেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৪-১৮ ১৩:৫০:১৫


হাকালুকি হাওড়ে প্রতি হেক্টরে কী পরিমাণ ধান হবে তা যাচাইয়ের জন্য বোরো ধানের নমুনা শস্য কাটা হয়েছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পালের মুড়া এলাকায় বোরো ধানের নমুনা শস্য কেটে বোরো ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, ‘আমরা প্রথমে নমুনা ধান কেটেছি। এর নাম ব্রি-৮৫। কাঁচা অবস্থায় এর আর্দ্রতা ২৩ শতাংশ। শুকানো অবস্থায় আর্দ্রতা হবে ১৪ শতাংশ। প্রতি হেক্টরে কাঁচা ধানের ওজন ৭ দশমিক ২৫ টন। শুকনো ধানের ওজন হবে ৬ দশমিক ৪৯ টন। আর সেখান থেকে চাল হবে ৪ দশমিক ২৮ টন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘বোরো ধানের নমুনা শস্য কাটার মধ্যে দিয়ে উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হলো। এই উপজেলায় স্বল্প পরিমাণে বোরো ধানের চাষ হয়। এ বছর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের উন্নতজাতের ধান চাষে আগ্রহী করায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ধানের পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।’

আগামীতে এই উপজেলায় বোরো ধানের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি।

উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, ‘হাকালুকি হাওড়ে কৃষকদের যে কোনো সমস্যা, এমনকি শ্রমিক সংকট হলেও যেন আমাদের জানানো হয়। আমরা সম্মিলিতভাবে সংকট সমাদান করবো।’

পালের মুড়া এলাকার কৃষক সাদ্দাম মিয়া বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উন্নতজাতের ধান চাষ করায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২১ থেকে ২৩ মন হারে ধানের ফলন হয়েছে। উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া গেলে আগামীতে আরও বেশি পরিমাণে বোরো ধানের চাষ করবো’।