ঈদের আগে লকডাউন শীথিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,ঈদে যাতে খেটে খাওয়া মানুষ,ব্যবসায়ী, ঘরমুখো মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউন শীতিল করার চিন্তা করছে সরকার। সেই সাথে আগামী এক সপ্তাহ লকডাউন বৃদ্ধির কথা চিন্তা করছে সরকার।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রংপুর সড়ক ভবনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রংপুর জোনের কর্মকর্তাদের সাথে অনলাইনে রংপুর জোনের আওতায় চলমান উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের আগে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো মেরামত করতে হবে। বর্ষায় যেন মানুষ দুর্ভোগে না পড়ে সেদিকে কেয়াল রাখতে হবে।
সাসেক-১ ও সাসেক-২ এর কাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সাসেক ১- কাজ অনেক ঢিলে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কাজ অনেক আগে শেষ করতে বলেছেন। কিন্তু কেন শেষ হচ্ছে না, তা আমার বোধগম্য নয়। এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা দরকার।
মন্ত্রী বলেন, কোন কাজের ওয়ার্ক অডার দেওয়ার জন্য আপনারা তাগাদা দেন। কিন্ত সেই কাজ সময়মত শেষ করতে পারে না। যেগুলো কাজ শুরু হওয়ার কথা সেগুলো শুরু করা দরকার, টেন্ডার করার সময় যত তারাহুরো থাকে কাজ শেষ করার ব্যাপারে সেটা দেখা যায় না। এ কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কের গুনগত মান বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়ে বলেন, নিম্মমানেন কাজ যেন না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, নিম্মমানের কাজ হলে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনয়ারকে দায়িত্ব নিতে হবে। মন্ত্রী বগুড়া-নওগা-বগুড়া-জয়পুরহাট সড়ক নিদ্ধারিত সময় অতিবাহিত হবার পরেও কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নাভানা কন্সট্রাকশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সড়কের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রক্যেশলীকে নিদেশ দেন।
বিআরটিএ অফিসগুলোতে হয়রানীমুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই অফিস দালাল মুক্ত হতে হবে। অফিসগুলোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে দালালদের একটা যোগাযোগ রয়েছে। মানুষ দিনের পর দিন যাতে অপেক্ষা না করে সেদিকে খেয়ায় রাখতে হবে।
সেতু মন্ত্রী বলেন তদারকির অভাবে বিআরটিসি বাসগুলোর বেহাল অবস্থা। এর সাথে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কত আর ভর্তুকি দিবে। আপনাদের নিজেদেরকে আয় করতে হবে। তা না হলে আপনারাই বেতন পাবেন না। আমরা চাই সবকিছু সঠিক ভাবে চালুক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রংপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী রাশেদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুজ্জামানসহ রংপুর জোনের আওতায় সড়ক বিভাগের রংপুর,গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম,লালমনিহাট,নীলফামারী,দিনাজপুর,ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়,বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার নির্বহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।