মাগুরায় মাঠ থেকে রসুন তুলতে ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণীরা

জেলা প্রতিনিধি আপডেট: ২০২১-০৪-২১ ১৫:১৪:৩১


চলতি মৌশুমে মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় ২.১৮৫ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে ১০.১৬৫ মেঃটন। ক্ষতে রসুন এখন পাকতে শুরু করেছে।

মাগুরা সদরের বাশঁকোটা, ও শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া মর্কদ্দখোলা, জয়নগর গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন মাঠ থেকে রসুন তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, চৈত্রের প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কৃষাণ-কৃষাণীরা মাঠ থেকে রসুন তুলছেন। সাদা ধবধবে এ রসুন গুলোর আকার বড় ও দেখতে সুন্দর।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা সুশান্ত সুমার ,প্রামানিক জানান এবার আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় মাগুরা জেলায় রসুনের আবাদ ভালো হয়েছে। জেলার কৃষকরা সঠিক সময়ে নিয়মিত সার ও সেচ দেওয়ার ফলে রসুনের ফলন ভালো হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ রসুন কৃষকের ঘরে উঠে গেছে। বাকী ২০ শতাংশ রসুন মাঠে উত্তোলনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকরা। জেলায় এবার ১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে।

তার মধ্যে শ্রীপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। চলতি মৌসুমে এবার মাগুরা সদরে ১৮৫ হেক্টর,শালিখায় ১৬০ হেক্টর,মহম্মদপুরে ১৮০ ও শ্রীপুর উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ হয়েছে। এবার রসুনের হেক্টর প্রতি উৎপাদন ধরা হয়েছে ৯ মেট্রিক টন ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০.১৬৫ মেট্রিক টন।

সদরের বাশঁকোটা গ্রামের রতন বিশ্বাস জানান, রসুন চাষে খরচ কম, ফলন ভালো। এবার সে ২ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছে। গত অগ্রহায়ন মাসে রসুনের বীজ বপন করেন তিনি। বীজ বপনের পর পর সঠিক সময়ে সার,কীটনাশক ও সেচ দেই। রসুনের চারা বের হলে জমিতে পরিচর্যা বাড়াই এবং সেচ দেই। চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে রসুন পরিপূর্ণ হলে জমি থেকে উত্তোলন শুরু করা হয়।

বর্তমানে ২ বিঘা জমির ৭০ শতাংশ রসুন উত্তোলন প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি ৩০ শতাংশ রসুন উত্তোলন ২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় রসুনের ফলন ভালো হয়েছে। এবার আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন প্রতি মণ রসুন ১৫শ’ টাকা থেকে ১৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আশা রাখছি এবার ভালো অর্থ পাব। শ্রীপুর উপজেলার মর্কদ্দখোলা রসুন চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন,সে ১ বিঘা জমিতে রসুনের চাষ করেছে। এবার রসুনের ফলন খুবই ভালো। এ চাষে খরচ কম ,লাভ বেশি। এবার তাদের গ্রামের অনেক চাষী রসুনের আবাদ করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় তারা রসুনের ফলন ভালো পেয়েছে।

জেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক বলেন, মসলা জাতীয় ফসল রসুনের আবাদ জেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাষে জেলার কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের এ ফসলের মান বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ থেকে নানা ধরনের সহযোগীতা করা হয়ে থাকে।