আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশনের (সিএনডি) সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সহযোগী সংস্থা সিএনডিয়ের এই নতুন পরিষদ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।
নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদফতর ইকোসকের ব্যবস্থাপনা সভায় সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রত্যক্ষ ভোটে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইরান এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনে জয়লাভের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, সিএনডিয়ের এই নির্বাচনটি ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বাংলাদেশ এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ ভোট পায়। এই বিজয় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মাদক ও মাদকজাতীয় দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান অবৈধ ব্যবহার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন, যা সংশোধনমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান করা প্রয়োজন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য হিসেবে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদরদফতর ভিয়েনায় অবস্থিত।
এছাড়া ইকোসক ব্যবস্থাপনা সভায় ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বোর্ডে বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়। নতুন এই বোর্ড দুটি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানেও বোর্ড দুটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাহী বোর্ডই জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা দুটির মূল পরিচালনা পর্ষদ।