দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চালু হওয়া ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে চতুর্থ দিন পর্যন্ত ১৫৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৯০ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেন, যারা এই হাসপাতালে এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বয়োবৃদ্ধ। যাদের বয়স ৬৫ থেকে ৭৫ বছর। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে তিন জন ঢাকার এবং চার জন ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগী।
নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ ঢাকার বাইরে থেকে অনেক রোগী আসছেন। তবে আমরা বাইরের জেলাগুলো থেকে আসা রোগীদেরকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আর যারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি, ট্রান্সফার হয়ে এই হাসপাতালে আসছেন, তাদেরকে নিরুৎসাহিত করছি। আমরা আসলে চাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা যেসব রোগী কোথাও জায়গা পাচ্ছেন না, ভর্তি হতে পারছেন না, তাদেরকেই চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে।
তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের করোনা রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন। আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে ফেরত পাঠাইনি। তবে এভাবে সব রোগী এখানে আসতে শুরু করলে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে।
হাসপাতালটি উদ্বোধন হলেও এখনও জনবল সংকট রয়েছে জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, এক হাজার শয্যার হাসপাতালে ২৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। পর্যাপ্ত জনবল না পাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এই মাসের মধ্যেই এক হাজার শয্যা চালু করতে চাই। কিন্তু জনবল না পেলে সেটা সম্ভব হবে না। তবে গত কয়েকদিনে আরও কিছু চিকিৎসক এবং নার্স কাজে যোগ দিয়েছেন।