পুরান ঢাকায় একের পর এক কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। সর্বশেষ আরমানিটোলায় ছয়তলা ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ২১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
নিহত হয়েছেন চারজন। ঢাকা জেলা প্রশাসন বলছে— পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে এরই মধ্যে তালিকা তৈরি করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম এ কথা জানান। তিনি বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশকিছু কাজ শেষ হয়েছে।
কেমিক্যাল গোডাউনগুলোর একটি তালিকা করা হয়েছে। তালিকাটি সরকারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। সরকার এবং কেমিক্যাল গোডাউন মালিকদের যৌথ উদ্যোগে শিগগিরই বাকি কাজ শেষ হবে। এখানে শিল্প মন্ত্রণালয়ও জড়িত রয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক বলেন, দুই পদ্ধতিতে জেলা প্রশাসন পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরাতে কাজ করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া। অনেক সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গোডাউন সিলগালা, গোডাউন বন্ধ করা, এমনকি লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হয়। যাতে তারা পরবর্তীতে কাজটি না করতে পারে। এর সঙ্গে সিটি করপোরেশন এবং পুলিশ প্রশাসন জড়িত থাকে।
‘দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো— এককালীন পুরান ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জে কেমিক্যালের গোডাউন স্থানান্তরে সরকারের একটি পরিকল্পনা রয়েছে, সেই অনুযায়ী জায়গা বরাদ্দসহ যা যা প্রয়োজন সেগুলোর সঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসন জড়িত রয়েছে। সে অনুযায়ী কাজও চলছে’ যোগ করেন তিনি।
শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কেমিক্যোল গোডাউন সরাতে কেরানীগঞ্জে আমরা জায়গা পেয়েছি, সেখানে ডেভেলপমেন্টের প্রসেস রয়েছে। সরকারের সাপোর্ট এবং ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সহযোগিতা পেলে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করবে ঢাকা জেলা প্রশাসন।’
সে প্রক্রিয়া কতদিনের মধ্যে সম্ভব হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পুরান ঢাকায় যতগুলো কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, ডোর টু ডোর গিয়ে তাদের একটি তালিকা করেছি এবং সরকারের কাছেও দিয়েছি।’