মিয়ানমারকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা। আসিয়ান সম্মেলনের আগে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) এই আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে দেশটির সামরিক সরকারের বৈধতা বাতিলের বিষয়টি বিবেচনার দাবি জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
শনিবার মিয়ানমার ইস্যুতে বিশেষ আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ১০টি দেশের সংগঠন আসিয়ান। এই বৈঠককে সংস্থাটির ৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কৌশলী ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণী বলে মন্তব্য করেছেন কূটনৈতিকরা। সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লিয়াংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যা তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক প্রধান ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন জেনারেল হ্লিয়াং। তাকে এই আঞ্চলিক সমাবেশে স্বাগত জানানো উচিত নয়। আসিয়ান দেশগুলোর উচিত এই বৈঠককে জান্তা সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে চাপ প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেরাতে ব্যবহার করা।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চালু করতে আসিয়ানকে আহ্বান জানিয়েছে।
ফর্টিফাই রাইটস বলছে, সামরিক শাসককে আমন্ত্রণ করে এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমারের বেসামরিক নেতাদের অগ্রাহ্য করে আসিয়ান ইতোমধ্যেই অবৈধ ও নৃশংস জান্তা সরকারকে বৈধতা দিয়েছে।
মিয়ানমারের বেসামরিক ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)-এর প্রধান ড. সাশা বলেন, ‘আসিয়ানের উচিত মিয়ানমারের জনগণের কান্না শোনা ও এনইউজিকে সমর্থন দেওয়া।’
আসিয়ানের নীতিমালায় সদস্যদেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে আসিয়ানের নীতি থাকায় সংস্থাটি মিয়ানমার ইস্যুতে কি পদক্ষেপ নিতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রেরণ করবেন। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর বলেছে, তারা এই বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার আনা প্রস্তাবকে সমর্থন দেবে।
সানবিডি/এএ