লাতিন আমেরিকার গুয়াতেমালার একটি গ্রামে ১০০ মিটার পাহাড়ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার পাহাড়ধসের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৬০০ এর বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তারা জানান, ভারী বর্ষণ এবং মাঝারী ধরনের প্রবল বাতাসের ফলে রাজধানী গুয়াতেমালা সিটির ১৫ কিলোমিটার পূর্বে এল ক্যামব্রে দস গ্রামে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া অনেকেই তাদের স্বজনদের কাছে ফোন করার পাশাপাশি এমএসএস পাঠাচ্ছেন।
সংবাদ সংস্থার এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার থেকে উদ্ধারকর্মীরা মরদেহ এবং আহতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। সেইসঙ্গে আশ্রয়হীন মানুষদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গুয়াতেমালা ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র জুলিও সানচেস জানান, এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। এছাড়া অপর ৩৬ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পাহাড়ধসের ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় পর ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
গুয়াতেমালার দুর্যোগ সংস্থার প্রধান অ্যালেজেন্দ্রো ম্যাল্ডোনাডো বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বর্ষণের সঙ্গে প্রবল বাতাসের ফলে এই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময়ে সবাই ঘুমিয়ে থাকায় হতাহতের পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে। ৬০০ এর বেশি মানুষ এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।